কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) এবং মহার্ঘ ত্রাণ (ডিআর) বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, হোলির আগেই সরকার এ সংক্রান্ত কোনো ঘোষণা করতে পারে, যা ১.২ কোটিরও বেশি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তদের উপকৃত করবে।
ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে সরকারি নিয়মাবলী
কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণত বছরে দু’বার ডিএ পর্যালোচনা করে—একবার জানুয়ারিতে ও আরেকবার জুলাই মাসে। জানুয়ারির সংশোধনী সাধারণত মার্চ মাসে হোলির আগে ঘোষণা করা হয়, আর জুলাইয়ের সংশোধনী দীপাবলির সময় আসে।
৫ মার্চের বৈঠকে হয়নি কোনো আলোচনা
নয়াদিল্লিতে ৫ মার্চ, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিএ বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে। যদিও কর্মচারীদের মধ্যে আশা রয়েছে যে হোলির আগেই কোনো ঘোষণা আসতে পারে।
গত বছরের ডিএ সংশোধনী
২০২৪ সালের ৪ মার্চ মন্ত্রিসভা ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল, যা মূল বেতনের ৪৬% থেকে ৫০%-এ উন্নীত হয়। এরপর, ২০২৫ সালের অক্টোবরে আরেকটি সংশোধনের মাধ্যমে ডিএ হার ৫৩%-এ পৌঁছায়, যা ১ জুলাই, ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়।
৮ম বেতন কমিশনের ঘোষণা ও সম্ভাবনা
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সরকার ৮ম বেতন কমিশন গঠনের ঘোষণা দেয়, যা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা পর্যালোচনা করবে। ধারণা করা হচ্ছে, কমিশন তাদের সুপারিশগুলি চূড়ান্ত করতে প্রায় এক বছর সময় নেবে এবং এর আগে কর্মচারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে।
কী সিদ্ধান্ত আসতে পারে?
ডিএ হার বৃদ্ধি: কর্মচারীরা আশা করছেন, মার্চ মাসেই নতুন ডিএ হার ঘোষণা করা হবে। ৮ম বেতন কমিশনের সুপারিশ: এটি কার্যকর হলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। অতিরিক্ত সুবিধা: ডিএ বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের জন্য হোলির আগে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে, ৮ম বেতন কমিশনের কাজ শুরুর পর সরকারি কর্মীদের মধ্যে নতুন আশা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার প্রভাব কর্মচারীদের ওপর কেমন পড়ে।