একটি বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুতে রহস্য দানা বাঁধছে। পুলিশের ধারণা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাটি কী আত্মহত্যা? নাকি অন্য কিছু, জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
শনিবার দিল্লির বসন্ত বিহার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে এক পরিবারের তিন সদস্যকে সন্দেহজনক ঘটনায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের তিনজনই মহিলা। এক মহিলা ও তাঁর দুই মেয়েকে তাদের বাড়ির ভিতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সন্দেহ করছে যে তিনজনই "শ্বাসরোধে" মারা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
দরজা ভেঙে উদ্ধার মা ও দুই মেয়ের দেহ
ডিসিপি দক্ষিণ পশ্চিমের মতে, পুলিশ পিসিআর থেকে একটি কল পেয়েছিল যে বসন্ত অ্যাপার্টমেন্ট সোসাইটির একটি কক্ষ ভিতর থেকে তালান্ধ এবং ভিতরের লোকেরা দরজা খুলছেন না। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের একটি দল। দিল্লি পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে তিনটি মৃতদেহ দেখতে পায়। ভিতরের ঘরে বিছানায় মঞ্জু ও তার দুই মেয়ে আশিকা ও অঙ্কুর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ একই পরিবারের ৫ জনকে ইঁট-পাথর ছুড়ে নৃশংস হত্যা, কেন খুন ধন্দে পুলিশ
প্রাথমিক তদন্তে তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধে বলে জানা গিয়েছে। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ, ছিল।জানালাও বন্ধ। ফলে আত্মহত্যার থিওরিই বদ্ধমূল হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের আগে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট দিতে রাজি নয়।
ঘরকে বানানো হয়েছিল গ্যাস চেম্বার!
ঘরের ভিতর থেকে পাওয়া একটি চিরকুটের তথ্য অনুযায়ী, মহিলারা পলিথিন দিয়ে ঘর ভরে ঘরকে গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছিল। এটা ছিল তাদের আত্মহত্যার পরিকল্পনার অংশ। তারা জানালাগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছে, বাইরের স্কাইলাইটটাও ভরে দেওয়া হয়েছে পলিথিনে। ঘরে আগুন জ্বালানো হয়, গ্যাস সিলিন্ডার খোলা হয়।
উদ্ধারকারীদের জন্য চিরকুট
পুলিশ বাড়িতে ঢুকে একটি চিরকুট দেখতে পায় যাতে লেখা ছিল, "অত্যধিক মারাত্মক গ্যাস, দরজা খোলার পর ম্যাচ বা লাইটার জ্বালাবেন না, বাড়িটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বিষাক্ত গ্যাসে ভরা।" অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে নোটটি লেখা হয়েছে।
পরিবারের কর্তার করোনায় মৃত্যুর পর থেকেই অবসাদ গ্রাস করে পরিবারকে
পুলিশ জানিয়েছে যে কোভিডের কারণে ২০২১ সালে এপ্রিলে পরিবারের কর্তা মারা গিয়েছিলেন এবং তারপর থেকে পরিবারটি হতাশায় ভুগছিল। স্ত্রী মঞ্জু অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী ছিলেন। পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে। আরও তদন্ত চলছে।