
দিল্লি ব্লাস্টের ইনভেস্টিগেশনসোমবার সন্ধেয় দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এখন পর্যন্ত সেই বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ২০ জন আহত হয়েছে বলে খবর। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি আই২০ গাড়িতে ছিল বিস্ফোরক। সেটি ফেটেই এত মানুষের প্রাণ যায়। শুধু তাই নয়, গোয়েন্দারা মনে করছেন, দিল্লির এই ব্লাস্টের পিছনে ফরিদাবাদ টেরর মডিউলের যোগ রয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ব্লাস্ট হওয়া সেই গাড়িতে পাওয়া দেহাংশের ডিএনএ টেস্ট করছে। তারা দেখছে সেই গাড়িতে থাকা ব্যক্তি ডাঃ উমর মহম্মদ কি না।
আসলে গোয়েন্দারা মনে করছেন, ডাঃ উমর মহম্মদ ওই আই২০ গাড়ির একমাত্র যাত্রী ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কালো মাস্ক পরে এক ব্যক্তি ওই গাড়িতে রয়েছে।
ফরিদাবাদে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট খুঁজে পাওয়ার পর থেকেই দিল্লি পুলিশ ও গোয়েন্দারা উমর মহম্মদকে খুঁজছিলেন। এই ব্যক্তি ফরিদাবাদ টেরর মডিউলের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। আর এই বিষয়ে আজতক ও ইন্ডিয়া টুডে-এর হাতে এসেছে খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

১. এই বিস্ফোরণের সময় গাড়িতে একা ছিল উমর মহম্মদ। সে দুই জঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে এই হামলা প্ল্যান করেছিল বলে জানা যাচ্ছে।
আসলে ফরিদাবাদের জঙ্গি মডিউলকে ধরে ফেলার পরই ভয় পেয়ে যায় উমর। তারপর তড়িঘড়ি জঙ্গি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে। দিল্লি পুলিশ এবং গোয়েন্দারা এই আই২০ গাড়িটির ইতিহাস খতিয়ে দেখছে। সেখানেই উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
২. বাদরপুর বর্ডারে শেষবারের জন্য দেখা গিয়েছিল এই গাড়িটিকে। বাদরপুর থেকেই দিল্লিতে আসে সেটি।
৩. বিস্ফোরণের আগে লালকেল্লার কাছে গোল্ডেন মসজিদের পার্কিংয়ে গাড়িটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গাড়িটি দুপুর ৩টে ১৯ মিনিটে পার্কিংয়ে ঢোকে। ৬টা ৪৮-এ বেরিয়ে যায়। এই বিস্ফোরণ হয় সন্ধে ৬টা বেজে ৫৫ মিনিটে।
৪. দিল্লি পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে গাড়িটি পার্কিং লটে ঢুকছে এবং বেরচ্ছে। পুলিশ ১০০টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।

৫. যতদূর খবর, এই যে আই২০ গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়, সেটা মহম্মদ সলমনের নামে ছিল। সে গাড়িটি নাদিম নামে এক ব্যক্তিকে বিক্রি করে। এরপর নদিম সেই গাড়িটি বিক্রি করে দেয় ফারিদাবাদের কার ডিলার রয়্যাল কার জোনের কাছে। তারপর তারিক কিনে নেয় সেটি। তারপর গাড়িটি আবার হাত বদল হয়ে উমর মহম্মদের কাছে যায়।
গাড়িটি হরিয়ানার গুরুগ্রামে নর্থ আরটিও-তে রেজিস্টার করা ছিল। এর নম্বর ছিল এইচআর ২৬ ৭৬২৪। এটি রেজিস্টার করা ছিল মহম্মদ সলমনের নামে।
৬. তারিককে পুলওয়ামার সামবুরা থেকে আটক করে পুলিশ। যদিও আরসি ছিল না তারিকের নামে।

সূত্রের খবর, তারিক এটা ২০১৫ সালে উমরকে বিক্রি করে দেয়। পুলিশ এখন তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
৭. প্রথমে পুলিশ জানিয়েছল, যেই গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, সেটিতে ৩ জন ছিল। তবে পরে পুলিশ জানায়, উমর মহম্মদ একাই ছিল ওই গাড়িটিতে।
৮. দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যে এই বিস্ফোরণের জন্য এফআইআর করেছে। তাঁদের তরফ থেকে UAPA-এর ১৬ এবং ১৮ নম্বর ধারায় করা হয়েছে এফআইআর। পাশাপাশি এক্সপ্লোসিভ সাবস্টেন্স অ্যাক্টের সেকশন ৩ এবং ৪-কেও এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।