Al Falah founder Jawad Ahmad Siddiqui দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে বড়সড় পদক্ষেপ করল ED। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার আল ফালাহ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকি। সন্ত্রাসবাদীদের তহবিল জোগানের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার আল ফালাহ গ্রুপের আওতাধীন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ED। একইসঙ্গে জওয়াদ সিদ্দিকির বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। তারপর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসবাদীদের অর্থের জোগান দিত। অর্থ পাচারও করা হতো ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। সেই টাকা লালকেল্লা বোমা হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে ED। সূত্রের খবর, ইডি ৪.৮ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি নগদ এবং ডিজিটাল প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করেছে।
বিস্ফোরণের পরই দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা দুটি এফআইআর দায়ের করে। তার ভিত্তিতেই ইডি তদন্ত শুরু করে। এই এফআইআরগুলিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ফরিদাবাদভিত্তিক আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় অযৌক্তিক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করেছে।
এফআইআরে উল্লেখ, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৬ সালের ইউজিসি আইনের ১২(বি) ধারার অধীনে মিথ্যাভাবে ইউজিসির স্বীকৃতি দাবি করেছে। যার উদ্দেশ্য ছিল, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা। ইউজিসি জানিয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি ধারা ২(এফ) এর অধীনে রাষ্ট্রীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাদের তরফে ধারা ১২(বি) এর অধীনে কখনও অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অনেকে মারা যান। তারপরই ফরিদাবাদের ধৌজ এলাকার এই বিশ্ববিদ্যালয়টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থাগুলির নজরে চলে আসে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গনেই গড়ে উঠেছিল সন্ত্রাসবাদী মডিউলটি।