ভোটের রাজনীতিতে তাঁর আবির্ভাব ঘটেছিল উল্কার মতো। ২০১৩ সালে নয়াদিল্লি আসনে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে হারিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল ২০২৫ সালে। হেরে গেলেন 'হাইপ্রোফাইল' প্রার্থী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নয়াদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁকে মাত দিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ বর্মা।
২০১৩ সালে নয়াদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্র জিতে ভোট রাজনীতিতে চমক দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তারপর ২০১৫ এবং ২০২০ সালে নয়াদিল্লিতেই বিশাল ব্যবধানে জেতেন। আপ সুুপ্রিমো তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নয়াদিল্লির দুর্গেই আঘাত হানলেন বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে প্রবেশ বর্মা। ৩,১৮২ ভোটে পরাজিত হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
আম আদমির রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর সেই 'সাধারণ' ভাবমূর্তিতেই একের পর এক আঘাত হেনেছে বিজেপি। সরকারি টাকায় বিলাসবহুল বাংলোতে থাকার অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন কেজরিওয়াল। 'শিশমহল' বিতর্কের যুৎসই জবাব দিতে পারেননি। তার উপর আবগারি দুর্নীতি। যে মামলায় জেলেও যেতে হয়েছিল তাঁকে। জেল থেকে ফিরে অতিশীকে মুখ্যমন্ত্রী করেন কেজরিওয়াল। কিন্তু ভোটে জেতার পর তিনিই ফিরবেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দল খারাপ ফল তো করলই, কেজরিওয়ালও হারলেন।
নয়াদিল্লির মতো কঠিন আসনে কেজরিওয়ালকে মাত দিয়ে 'জায়ান্ট কিলার' বিজেপির প্রবেশ বর্মা। তিনি দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাহেব সিং বর্মার পুত্র। ছোট থেকেই সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক। দীর্ঘদিন ধরে 'শাখা প্রমুখ' হিসেবে কাজ করেছেন। সেখান থেকে বিজেপিতে। কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে নিয়মিত আক্রমণ করে এসেছেন। তাঁকে নয়াদিল্লিতে প্রার্থী করে কৌশল চাল দিয়েছিল বিজেপি। যা খেটে গিয়েছে নির্বাচনী ময়দানে। প্রবেশ হারিয়ে দিয়েছেন কেজরিওয়ালকে। সেই সঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার হয়ে উঠেছেন বলেও মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।