দিল্লিতে ২০২০ হিংসার লক্ষ্য ছিল ক্ষমতার পরিবর্তন, উমর খালিদদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পুলিশ

২০২০ সালে দিল্লিতে যে হিংসা ছড়ানো হয়েছিল তার লক্ষ্য ছিল শাসন ব্যবস্থা বা ক্ষমতার পরিবর্তন। দেশের বদনাম। সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে হলফনামা জমা দিল দিল্লি পুলিশ। কোর্টে দাবি করা হয়েছে, সাধারণ বিক্ষোভ ছিল না সেটা।

Advertisement
দিল্লিতে ২০২০ হিংসার লক্ষ্য ছিল ক্ষমতার পরিবর্তন, উমর খালিদদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পুলিশ  Delhi
হাইলাইটস
  • ২০২০ সালে দিল্লিতে যে হিংসা ছড়ানো হয়েছিল তার লক্ষ্য ছিল শাসন ব্যবস্থা বা ক্ষমতার পরিবর্তন
  • সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে হলফনামা জমা দিল দিল্লি পুলিশ

২০২০ সালে দিল্লিতে যে হিংসা ছড়ানো হয়েছিল তার লক্ষ্য ছিল শাসন ব্যবস্থা বা ক্ষমতার পরিবর্তন। দেশের বদনাম। সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে হলফনামা জমা দিল দিল্লি পুলিশ। কোর্টে দাবি করা হয়েছে, সাধারণ বিক্ষোভ ছিল না সেটা। আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক মদত ও উস্কানি ছিল। 

২০২০ সালে দিল্লিতে হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে। অভিযুক্ত উমর খালিদ, শারজিল ইমাম, মিরান হায়দার, গলফিশা ফাতিমা এবং অন্যদের জামিনের বিরোধিতা করে দিল্লি পুলিশ। হলফনামায় দাবি, দিল্লির হিংসা স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ ছিল না। বরং ভারতের অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং আন্তর্জাতিক অবস্থানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এর পিছনে গভীর চক্রান্ত ছিল।  

পুলিশের দাবি, আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য ছিল অশান্তি ছড়ানো। মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা। নিজেদের দাবি প্রমাণের জন্য পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (CAA) বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর জন্যই সেই আন্দোলন করা হয়েছিল বলেও হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। 

হলফনামায় লেখা, দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য CAA কে মুসলিম বিরোধী আইন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। তৎকালীন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খারাপ দেখানো। 

বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা UAPA অনুসারে অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া উচিত নয় বলে কোর্টে জানায় পুলিশ। হলফনামায় দাবি, অভিযুক্তরা তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খণ্ডণ করতে পারেননি। বিচারে বিলম্ব হওয়ার জন্য তাঁদের জামিন দেওয়া যেতে পারে না।

 

POST A COMMENT
Advertisement