মদ কেলেঙ্কারিতে দিল্লির ক্ষতি ২ হাজার কোটির বেশি, BJP-র দাবিতে AAP-এর পাল্টাDelhi Liquor Scam: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যেই মদ কেলেঙ্কারি বিষয়টি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যাগ (CAG) রিপোর্টে প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি. দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি (AAP) কে আক্রমণ শুরু করেছে। বিজেপির দাবি, মদ দুর্নীতি ঘটনায় দিল্লিতে ২ হাজার কোটির বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাদের দাবি আম আদমি পার্টির নেতাদের পকেটে ঘুষ ঢুকেছে। সেখানে আপের তরফে পাল্টা প্রশ্ন ছোড়া হয়েছে, আপ নেতা জিজ্ঞাসা করেছেন CAG রিপোর্ট কোথায়? এই দাবি কোথা থেকে উঠে আসছে?
বিজেপি CAG -এর লিক হওয়া রিপোর্ট পেশ করেছেন। বিজেপি দিল্লী সরকারের উপরে এক্সপার্ট প্যানেলের সুপারিশ না মানার অভিযোগও করেছে। বিজেপি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে যে CAG রিপোর্টে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এসেছে। মদ কেলেঙ্কারিতে সরকারি তহবিলের ২০২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। বিজেপির দাবি যে পলিসি লাগু করার বিষয়ে ব্যর্থ হয়েছে আপ। আপ নেতাদের পকেটে মোটা টাকা ঘুষও ঢুকেছে। মদ কেলেঙ্কারিতে লোকসানের অঙ্ক এই প্রথমবার সামনে আনা হয়েছে।
মঞ্জুরি নেওয়া হয়নি
বিজেপি সূত্রে দাবি যে রিপোর্টে বলা হয়েছে, তহবিলের ক্ষতি দেখানো হয়েছে। তারপরেও লাইসেন্স নবীকরণ করা হয়েছে। লাইসেন্স জারি করার বিষয়টি লঙ্ঘন করা হয়েছে। এছাড়া নিয়মকে যারা বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছেন, তাদের শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। মূল্য নির্ধারণেও পারদর্শিতার অভাব দেখা গিয়েছে। একাধিক বড় সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেটের মঞ্জুরি বা উপ রাজ্যপালের মঞ্জুরি ছাড়াই করা হয়েছে।
CAG রিপোর্টে বলা হয়েছে যে যেখানে কিছু ক্ষুদ্র বিক্রেতারা পলিসি সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্স নিজের কাছে রেখেছে। সেখানে কিছু পলিসি হোল্ডাররা মেয়াদ সমাপ্ত হওয়ার আগেই লাইসেন্স ফিরিয়ে দিয়েছে। কারণ সরকার স্যারেন্ডার করা ক্ষুদ্র লাইসেন্সের জন্য দ্বিতীয়বার টেন্ডার করেনি। এতে সরকারি তহবিলের প্রায় ৮৯০ কোটি টাকার বোঝা বেড়েছে। জোনাল লাইসেন্সধারীদের দেওয়া সার থেকে ৯৪১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কোভিড প্রতিবন্ধকতার ভিত্তিতে জোনাল লাইসেন্স ধারকদের ১৪৪ কোটি টাকা লাইসেন্স শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছিল। যার কারণে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়।
আপ নেতা সঞ্জয় সিং কি বলেন?
মদ কেলেঙ্কারি ঘটনায় বিজেপির দাবি আপ নেতা সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, এই ক্যাগ রিপোর্টটি কোথায়? কোথায় এই দাবি কোথা থেকে আসছে? এটা কি বিজেপি দফতরে দাখিল করা হয়েছে? তিনি বলেন, বিজেপি নিজের মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। একদিকে তাদের দাবি যে সিএজি রিপোর্ট পেজ করা হয়নি। অন্যদিকে তারা এমন দাবি করে চলেছে।
বিজেপি বলে সদনে রিপোর্ট রাখা হোক
রিপোর্ট লিকের বিষয়ে বিজেপির প্রদেশ সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব বলেন যে, শিসমহলের উপর খরচা করা পয়সা মদ নীতি থেকে এসেছে। আপ-এর বিধানসভা অধিবেশন ডাকা উচিত এবং এটা সদনের পেশ করা উচিত।
সন্দীপ দীক্ষিত কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করেছেন
এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত জানিয়েছেন আমরা তো প্রথম থেকেই বলছি যে এটি দুর্নীতিবাজ সরকার। প্রথমে কেজরিওয়াল কংগ্রেসের উপর অভিযোগ লাগাতেন। এখন নিজেরাই ফেঁসে গিয়েছেন। কেজরিওয়ালের নিজেরই জেলে চলে যাওয়া উচিত। সেখানে কালকাজি সিটে কংগ্রেস প্রার্থী অলকা লম্বা বলেছেন সত্য এখন সামনে চলে এসেছে। করোনার সময় দিল্লি সরকার একটা মদের বোতলের সঙ্গে একটা ফ্রি দিচ্ছিল। মদনীতিতে দিল্লি সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই টাকা সাধারণ মানুষের পরিষেবায় খরচা করা যেত।