ব্রেক আপ করায় প্রাক্তন প্রেমিকাকে পার্কে ডেকে কুপিয়ে খুন করে দেহ জ্বলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা! অভিযুক্ত ১৮ বছরের অশকৃত সিং। নৃংশস এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দু'জনেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওপেন লার্নিংয়ের পড়ুয়া ছিলেন। B.Com ফার্স্ট ইয়ারে পড়তেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম মেহেক জৈন। বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে। সোমবার সকালে ক্লাস করতে যাচ্ছেন বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। দুপুরেই ফিরে আসবেন বলেছিলেন মা-কে। তবে দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ায় মেয়ের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাবা-মা। বারবার ফোন করতে থাকেন তরুণীকে। তখনও তরুণী জানিয়েছিলেন, দ্রুত ফিরে আসবেন। এরপরই তাঁর সঙ্গে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।
প্রতিবেশিরা জানাচ্ছেন, বহুদিন ধরেই অশকৃত নামে এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল তাঁর। আগেও এই তরুণের সঙ্গে মেলামেশা নিয়ে পরিবারের লোকেরা আপত্তি তুলেছিল। প্রথমটায় না মানলেও পরবর্তীতে বাবা-মায়ের অনুরোধে তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করে বেরিয়ে আসেন।
পুলিশের অনুমান, এতেই আক্রোশ তৈরি হয় অশকৃতের। গত কয়েক দিন ধরেই নানা ভাবে তাঁকে বিরক্ত করছিল অশকৃত। এমনটাই দাবি পরিবারের। সোমবার তরুণীকে পার্কে ডেকে পাঠিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে দেখা করার পর তাঁকে নিয়ে যায় নির্জন একটি জায়গায়। সেখানে পূর্বপরিকল্পনা মতোই ছুরি দিয়ে কোপ মারে প্রাক্তন প্রেমিকাকে। পরপর কোপ মারার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে অভিযুক্ত। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে এবং পরিচয় গোপন করতে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। কিছুটা সফলও হয় নিজের পরিকল্পনায়।
মেহরৌলির সঞ্জয় বন পার্ক থেকে তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহই উদ্ধার করে দিল্লি পুলিশ। অশকৃতের পরিবারের তরফে গোটা ঘটনা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ছেলে আহত জানিয়ে মেহেকের মা-কে ফোন করেছিলেন অশকৃতের বাবা। এতে সন্দেহ আরও তীব্র হয় জৈন পরিবারের। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ তোলেন অশকৃতের বিরুদ্ধে। এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ মেহেকের দেহ উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হ অশকৃতকে।