কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশা গ্রাস করেছে দিল্লি সহ গোটা উত্তর ভারতকে। যার জেরে বিপর্যস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা শূন্য রেকর্ড করা হচ্ছে। যার কারণে বিমান ও রেল চলাচলে প্রভাব পড়ছে। শনিবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে আসে। যার কারণে আড়াইশোর বেশি বিমান দেরিতে উড়েছে। কমপক্ষে ৪০টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। সকাল ৮.৩০টা পর্যন্ত IGI বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা ছিল শূন্য। তবে কিছু জায়গায় আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে এবং দৃশ্যমানতা ১০০-২৫০ মিটারে পৌঁছেছে।
আবহাওয়া দফতর আগামী কয়েকদিন ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যেও ঘন কুয়াশা পড়েছে। সর্বশেষ স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে সমগ্র ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি কুয়াশায় ঢাকা।
এয়ারলাইন্স অ্যাডভাইজরি জারি করেছে
ঘন কুয়াশার কারণে, অনেক বিমান সংস্থা যাত্রীদের সুবিধার্থে বিশেষ অ্যাডভাইজারি জারি করেছে এবং বিমানবন্দরে আসার আগে তাঁদের ফ্লাইটের স্টেটাস চেক করার জন্য অনুরোধ করেছে। ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়া সহ বিমান সংস্থাগুলি যাত্রীদের জন্য পরামর্শ জারি করেছে। দিল্লি ছাড়াও ঘন কুয়াশার কারণে উত্তর ভারতের অন্য রাজ্যেও বিমান চলাচল প্রাভাবিত হয়েছে। ফ্লাইট মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইটরাডার অনুসারে, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ৪০টি ফ্লাইট দেরিতে উড়েছে। ৫টি বাতিল করা হয়েছে। চণ্ডীগড়, অমৃতসর, আগ্রা এবং উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দরেও অবস্থা একই রকম।
তবে, শুধু বিমান চলাচলে নয়, রাস্তাতেও যান চলাচল বিপর্যন্ত। ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় যানজট হচ্ছে। ট্র্যাফিকের গতি খুবই স্লো। ধোঁয়াশা এতটাই তীব্র যে দিনের বেলাতেও সামনের আলো জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। যদিও তাতেও খুব বেশি দূর দেখা যাচ্ছে না। দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম, লখনউ, আগ্রা, গাজিয়াবাদ, অমৃতসর, জয়পুর এবং অন্যান্য অনেক জায়গায় দৃশ্যমানতা একেবারেই কম।
কুয়াশার কারণে ট্রেনও দেরিতে
কুয়াশার কারণে দিল্লিগামী এক ডজনেরও বেশি ট্রেন দেরিতে চলছে। যার কারণে সমস্যায় পড়েছেন মানুষ। শনিবার, বারাণসী-দিল্লি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তিন ঘণ্টারও বেশি দেরিতেচলেছে। যেখানে শ্রমশক্তি এক্সপ্রেস প্রায় ৫ ঘণ্টা দেরিতে চলেছে। একইভাবে উত্তর ভারত থেকে আসা অনেক ট্রেন দেরিতে চলছে।