উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে ভারত-নেপাল সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, রবিবার সন্ধ্যায় নেপালের দিক থেকে ভারতীয় শ্রমিকদের ওপর পাথর ছুড়ে মারা হয়। এতে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তথ্য অনুযায়ী, ধারচুলা এলাকায় এই পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এখানে কালী নদীতে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছিল। তাই নিয়ে এই বিরোধের কথা বলা হচ্ছে। এই নির্মাণের বিরোধিতা করছেন নেপালি নাগরিকরা। অন্যদিকে, পুরো ঘটনার সময় নেপালি নিরাপত্তাকর্মীরা নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন।
আসলে, ধারচুলা নেপাল ও চিনের সীমান্তবর্তী একটি সীমান্ত এলাকা। ধারচুলা থেকে চিন সীমান্তের দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার, যেখানে ধারচুলা লিপুলেখ হাইওয়ে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু নেপালের সীমান্ত শুরু হয় ধারচুলা থেকেই। ধারচুলায় কালী নদীর ওপারে ভারত ও নেপাল সীমান্ত। কালী নদীর একপাশে ভারত আর অন্যদিকে নেপাল। কালী নদীর চারপাশে শতাধিক গ্রামের বসতি। এসব গ্রামে চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে অনেক ঝুলন্ত সেতু। ভারত-নেপাল সীমান্তে এসএসবি মোতায়েন রয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালে, নেপাল একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করলে ভারত ও নেপালের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। এই মানচিত্রে, নেপাল তার অঞ্চলের কালা পানি, লিম্পিয়াধুরা এবং লিপুলেখের সেই অঞ্চলগুলিকে দেখিয়েছিল, যেগুলিকে ভারত উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অংশ বলে মনে করে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং তারপরে ৮ মে ২০২০-তে একটি বিশেষ কর্মসূচিতে উত্তরাখণ্ডের ধারচুলা থেকে চিন সীমান্তের লিপুলেখ পর্যন্ত একটি সড়ক সংযোগের উদ্বোধন করেছিলেন। এর বিরোধিতা করে আবারও লিপুলেখের ওপর নিজেদের দাবি জানিয়েছিল নেপাল। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
২০২০ সালে, নেপাল নো ম্যানস ল্যান্ডের জমি দখল করার চেষ্টা করেছিল
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২০ সালের জুলাইয়ে, নেপাল উত্তরাখণ্ডের টানাকপুর সীমান্তে বিতর্কিতনো ম্যানস ল্যান্ডের জমি দখল করার চেষ্টা করেছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এর আগে, নেপালি বাহিনী বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলায় একটি নির্মাণাধীন বাঁধের নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছিল, এটিকে নো ম্যানস ল্যান্ড বলে দাবি করেছিল নেপাল সরকার।