Dogs Head Found In Fridge: মোমো কারখানার ফ্রিজে কুকুরের কাটা মুণ্ডু, ওই মাংসেই মোমো? তদন্ত

পাঞ্জাবের মোহালিতে একটি মোমো তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ফ্রিজ থেকে কুকুরের কাটা মুণ্ডু উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে পৌর কর্পোরেশনের মেডিকেল টিম অভিযান চালিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনে। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই কারখানায় মোমো তৈরিতে অবৈধভাবে কুকুরের মাংস ব্যবহার করা হতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন।

Advertisement
মোমো কারখানার ফ্রিজে কুকুরের কাটা মুণ্ডু, ওই মাংসেই মোমো? তদন্ত
হাইলাইটস
  • পাঞ্জাবের মোহালিতে একটি মোমো তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ফ্রিজ থেকে কুকুরের কাটা মুণ্ডু উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
  • স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে পৌর কর্পোরেশনের মেডিকেল টিম অভিযান চালিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনে।

পাঞ্জাবের মোহালিতে একটি মোমো তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ফ্রিজ থেকে কুকুরের কাটা মুণ্ডু উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে পৌর কর্পোরেশনের মেডিকেল টিম অভিযান চালিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনে। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই কারখানায় মোমো তৈরিতে অবৈধভাবে কুকুরের মাংস ব্যবহার করা হতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন।

কুকুরের মাংস ব্যবহারের সন্দেহ, পুলিশে অভিযোগ
মোহালির সহকারী খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার ডঃ অমৃত ওয়ারিং জানিয়েছেন, অভিযানের সময় মোমো কারখানার ফ্রিজ থেকে কুকুরের মাথার মতো দেখতে পচা মাংস উদ্ধার করা হয়। ওই মাংসটি পরীক্ষা করার জন্য পশুচিকিৎসা বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও, কারখানায় উৎপাদিত মোমো, স্প্রিং রোল এবং চাটনির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

পচা মাংস ও পেষণকারী মেশিন উদ্ধার
অভিযানের সময় কারখানার ভিতর থেকে হিমায়িত পচা মাংস এবং একটি পেষণকারী (ক্রাশার) মেশিনও উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ডিএইচও)-র নেতৃত্বে রবিবার এবং সোমবার মাতাউর (মোহালি) ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নোংরা, পচা শাকসবজি এবং অস্বাস্থ্যকর ফাস্ট ফুড পাওয়া যায়।

স্থানীয়দের ক্ষোভ, বিক্রেতারা নেপালের নাগরিক
অভিযানের সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে কারখানার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ফ্রিজে পাওয়া মাথাটি মোমো তৈরিতে ব্যবহৃত হয়নি, বরং এটি তাদের ব্যক্তিগত খাবারের জন্য সংরক্ষিত ছিল। জানা গেছে, কারখানাটি নেপালের কিছু বিক্রেতা পরিচালনা করছিলেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ তদন্তে নেমেছে
মোহালির সিভিল সার্জন ডাঃ সঙ্গীতা জৈনা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে, অবৈধভাবে কারখানা পরিচালনাকারী ও নিবন্ধনহীন বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে কুকুরের মাংস ব্যবহার করে মোমো ও অন্যান্য খাবার তৈরি করে বাজারে বিক্রি করত। জনস্বাস্থ্যের জন্য বিষয়টি বড় ধরনের হুমকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় প্রশাসন অভিযুক্ত কারখানাটির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

Advertisement


 

POST A COMMENT
Advertisement