India Pakistan Ceasefire: ট্রাম্পের হস্তক্ষেপেই থামল ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ? জানুন আসল কাহিনি

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় ১০০ ঘণ্টার সংঘর্ষে ইতি টানতে সাহায্য করেছেন তিনিই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবি ঘিরে বিশ্ব জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সত্যিই কি আমেরিকার মদতেই থামল ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ? জানুন আসলে কী ঘটেছিল...

Advertisement
ট্রাম্পের হস্তক্ষেপেই থামল ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ? জানুন আসল কাহিনিindia pakistan ceasefire
হাইলাইটস
  • ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতিতে সহযোগিতা করেছেন ট্রাম্প?
  • মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতার দাবি ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন
  • জানুন মার্কো রুবিওর এস জয়শঙ্করকে ফোনের পর কী হয়েছিল?

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছে আমেরিকা? ট্রাম্পই এক্ষেত্রে ট্রাম্পকার্ড? ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তবে ভারত সরকার স্পষ্ট ভাবে ইঙ্গিত দিয়েছে, দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে কোনও তৃতীয় শক্তির ভূমিকা নেই। 

প্রথমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং আমেরিকার সেনেটর মার্কো রুবিওর মধ্যে কথা হয়েছিল গত ১ মে। সেই কথোপকথনে আমেরিকাকে জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চায়। সঙ্গে এও স্পষ্ট করে জানানো হয়েছিল, কোনও সহযোগিতার প্রয়োজন নেই ভারতের। 

পহেলগাঁও হামলার পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকা ভারতের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছিল। সে কারণেই 'অপারেশন সিঁদুর' সম্পর্কে ট্রাম্পের দেশকে জানানো হয় ভারতের তরফে যাতে আগামীতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকা ভারতের পাশে থাকে। সূত্র মারফত খবর এমনটাই। 

মুনীরের সঙ্গে কথা বলেই জয়শঙ্করকে ফোন রুবিও
গত ১০ মে ভারত পাকিস্তানের এয়ারবেসে প্রত্যাঘ্যাত করে। তার পরদিনই মার্কো রুবিও প্রথমে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনীরের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোন করেন এস জয়শঙ্করকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, এই ফোন কল মধ্যস্থতার করার জন্য ছিল না। 

জয়শঙ্করকে জানানো হয়েছিল, পাকিস্তান গোলাগুলি বন্ধ করতে প্রস্তুত রয়েছে। ভারতও কি তাহলে পাল্টা হামলা থামিয়ে দেবে? মার্কো রুবিওকে জবাব দেওয়া হয়, পাকিস্তান হামলা না করলে ভারতও কোনও অ্যাকশন নেবে না। 

সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা কেন করেন ট্রাম্প? 
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতিতে তিনিই মধ্যস্থতা করেছেন বলে ঘোষণা করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানান, আমেরিকার মধ্যস্থতার কারণেই দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। উনিই দুই দেশের মধ্যে অশান্তি বন্ধ করতে সহযোগিতা করেন। যদিও ভারত এবং পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে যে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয় তাতে কোথাও আমেরিকা কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

Advertisement

এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করবে ভারত? 
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে পাকিস্তানের জড়িত থাকার নয়া প্রমাণ নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রতিনিধি দল পাঠাতে চলেছে ভারত। আগামী সপ্তাহে UNSCR 1267 চুক্তি সমিতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেখানেই ভারত এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে। 

 

POST A COMMENT
Advertisement