
বারাণসীতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। মাত্র ৩০ বছর বয়সী রাহুল মিশ্র নিজের স্ত্রীর বিশ্বাসঘাতকতা, মানসিক চাপে ভেঙে পড়া এবং নাবালক সন্তানের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন। মৃত্যুর আগেই তিনি ৭ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও রেকর্ড করেন, যেখানে স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগ করেন। এবং ছেলেকে কাছে না পাওয়ার বেদনায় বারবার ভেঙে পড়েন। চলন্ত বাইকে ভিডিওটি তোলেন। বলেন, 'আমি মরতে চাই না... কিন্তু আর কোনও উপায় নেই।'
পাঁচ বছর আগে লক্ষ্মণপুরের এক মহিলাকে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন রাহুল। মঙ্গলবার সকালে বারাণসীর লোহাটা এলাকার বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। রাহুলের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্ত্রী, স্ত্রীর কথিত প্রেমিক শুভম এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের হয়েছে।
ভিডিওতে রাহুল বারবার বলেন, 'আমি আমার স্ত্রী আর ছেলেকে খুব ভালোবাসি। স্ত্রী শুভমের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে, বারবার নিষেধ করেও বন্ধ করছে না। আমার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম...আমাকে দেখতে দেয়নি। এটা আমি সহ্য করতে পারছি না। আমি চাই না আমার স্ত্রী আমার মৃত্যুর জন্য কষ্ট পাক। কিন্তু এই যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছি না।'
ভিডিওতে রাহুল আরও দাবি করেন, তাঁর শ্বশুরের মানসিক অবস্থা ভালো নয়। শাশুড়ি তাঁর মেয়েকে রাহুলের নম্বর ব্লক করতে বাধ্য করতেন। স্ত্রীর করা একাধিক অভিযোগের কারণে তাঁকে বারবার থানায় যেতে হয়েছে। রাহুল কাজের চাপ ও ঋণের বোঝা থেকেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে জানান।
ভিডিওর শেষ অংশে রাহুল পুরুষদের হয়রানির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, 'পুরুষদের কথা কেউ শুনছে না। আইপিসির ৪৯৮এ ধারা সংশোধন করা উচিত। অনেক পুরুষ ভুলভাবে অভিযুক্ত হচ্ছে।' এই কথাগুলো বলতে বলতেই তিনি শেষবারের মতো বলেন, 'আমি মরতে চাই না… কিন্তু আর লড়াই করার শক্তি নেই।'