Abadh Assam Express Accident: ফের ট্রেন দুর্ঘটনা। অল্পের জন্য বড়সড় বিপদ এড়ালো ডাউন অবধ-অসম এক্সপ্রেস। তিন রেলকর্মী জখম হলেও কোনও বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কাটিহারে কাটিহার স্টেশনের কাছেই। দ্রুত খবর যায় কাটিহার স্টেশনে। সেখান থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয় জিআরপি থানা থেকে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশই আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিন সকালে সেমাপুর এবং কারহাগোলা রোডের মাঝে ডাউন লাইনে কাজ করছিলেন রেলের কর্মীরা। কাজ সেরে তাঁরা ট্রলিতে করে সেমাপুরের দিকে যখন ফিরছিলেন, তখনই সামনে থেকে একই লাইনে চলে আসে এনজেপিগামী অবধ-অসম এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, সামনে ট্রেন দেখে লাল কাপড় দেখাতে থাকেন ট্রলিতে থাকা রেলকর্মীরা। বিষয়টি নজরে আসতেই অবধ-অসমের লোকোপাইলট জরুরিকালীন ব্রেক কষেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। ব্রেক কষায় ট্রেনের গতি কমলেও সোজা এসে ট্রলিতে ধাক্কা মারে। এর জেরে দুমড়ে-মুচড়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের ভেতর ঢুকে যায় ট্রলিটি। ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়েন রেলকর্মীরা। এরপরেই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। লোকোপাইলটই স্থানীয় স্টেশনে ঘটনাটি জানান। খবর পেয়েই রিলিফ ট্রেন, জিআরপি ও অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
পুলিশই আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ট্রেনটির ইঞ্জিনের তলায় ঢুকে যাওয়া ট্রলিটিকে বের করতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যাওয়ায় ওই এলাকার ডাউন লাইনে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। বিষয়টি নিয়ে পূর্ব-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সরস্বতী চন্দ্রর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় বক্তব্য মেলেনি। তবে রেলের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এমন ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মধ্য রেল। প্রাথমিকভাবে কার গাফিলতি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে লাইনে ট্রলি রয়েছে, সেই লাইনে ট্রেন আসার সিগন্যাল কী করে দেওয়া হল, তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে, তেমনই চালক সিগন্যাল ভেঙে এগিয়েছিলেন কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে।