Dr Umar i20 Car: দিল্লি বিস্ফোরণের ১১ দিন আগে i20 গাড়িটি কেনে ডাক্তার উমর, তারপর?

এতক্ষণে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে ছিল একটি হুন্ডাই আই২০ গাড়ি। সেই গাড়িতেই বোঝাই করা ছিল বিস্ফোরক। যেটি ফেটে ১০ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ যায়। ২০ জনের উপর আহত। আর বর্তমানে সেই গাড়িটিকে নিয়েই নতুন তথ্য সামনে এল। জানা যাচ্ছে, ডাঃ উমর নবি লালকেল্লা চত্বরের এই বিস্ফোরণের মাত্র ১১ দিন আগে ওই গাড়িটি কেনে।

Advertisement
দিল্লি বিস্ফোরণের ১১ দিন আগে i20 গাড়িটি কেনে ডাক্তার উমর, তারপর?ডাঃ উমরের আই২০ গাড়ি
হাইলাইটস
  • দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে ছিল একটি হুন্ডাই আই২০ গাড়ি
  • সেই গাড়িতেই বোঝাই করা ছিল বিস্ফোরক
  • ডাঃ উমর নবি লালকেল্লা চত্বরের এই বিস্ফোরণের মাত্র ১১ দিন আগে ওই গাড়িটি কেনে

এতক্ষণে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে ছিল একটি হুন্ডাই আই২০ গাড়ি। সেই গাড়িতেই বোঝাই করা ছিল বিস্ফোরক। যেটি ফেটে ১০ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ যায়। ২০ জনের উপর আহত। আর বর্তমানে সেই গাড়িটিকে নিয়েই নতুন তথ্য সামনে এল। জানা যাচ্ছে, ডাঃ উমর নবি লালকেল্লা চত্বরের এই বিস্ফোরণের মাত্র ১১ দিন আগে ওই গাড়িটি কেনে।

সূত্রের খবর, এই গাড়িটি কেনা হয়েছিল ২৯ অক্টোবর। সঙ্গে সঙ্গেই এটির পলিউশন সার্টিফিকেট করানো হয়। তারপর এনে পার্ক করে দেওয়া হয় ফরিদাবাদের আল ফালাহ ইউনির্ভাসিটিতে।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিং লটেই ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর ছিল আই২০ গাড়িটি। সিসিটিভি-তে এই গাড়ির আশপাশে তিনজনকে দেখা গিয়েছিল। আর যে দিন ঘটনাটি ঘটে, অর্থাৎ নভেম্বর ১০-এ উমরকে আতঙ্কিত হয়ে গাড়িটিতে দিল্লির দিকে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

কী জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা?

যত তদন্ত গড়াচ্ছে, এই গাড়িটি সম্পর্কে একাধিক আশ্চর্যের তথ্য সামনে আসছে। তদন্তকারীদের দাবি, বিস্ফোরণের আগে পর্যন্ত একাধিক হাত বদলেছে গাড়িটি। তারিক নামের পুলওয়ামার এক ব্যক্তিও এই গাড়িটি কিনেছিল। আর গাড়িটি কেনা এবং বেচার সময় একাধিক 'ফেক ডকুমেন্ট' ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকী গাড়িটির সঙ্গে পুলওয়ামার লিঙ্কও মিলেছে। আর এই সব কারণেই চিন্তায় রয়েছেন তদন্তকারীরা।

সূত্রের খবর, ডাঃ উমর, ডাঃ মুজাম্মিল এবং শাহিন শাহিদরা হল ৯ থেকে ১০ জনের টেরর মডিউলের অংশ। এদের মধ্যে ৫ থেকে ৬ জন ডাক্তার রয়েছে। এরা একত্রিত হয়ে বিস্ফোরক তৈরির নানা রাসায়ানিক জোগার করত। পাশাপাশি বিস্ফোরক তৈরি এবং তাকে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়ার কাজটিও করত এরাই।

তদন্তকারীরা মনে করছে, ২৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হওয়ার পর থেকে সতর্ক হয়ে গিয়েছিল ইমর। সে ৯ নভেম্বর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল। এই সময় সে ধৌজ গ্রামে লুকিয়ে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এই কয়েকটা দিন সে নিজের ৫টি মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ করে রেখেছিল। পাশাপাশি ইউনির্ভাসিটিতে নিজের কাজেও যাচ্ছিল না।

Advertisement

এখনও চলছে তল্লাশি

এই ঘটনা ঘটার পরই সারা দেশে জারি হয়ে গিয়েছে রেড অ্যালার্ট। বিস্ফোরণের পরের দিনই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে তিনি এই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত সকলকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। আর সেই কাজেই লেগে পড়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁরা হন্যে হয়ে দোষীদের খুঁজে বেরাচ্ছে। এখন দেখার কত তাড়াতাড়ি তারা এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে থাকা মাস্টারমাইন্ডকে খুঁজে বের করে।

POST A COMMENT
Advertisement