অগার ড্রিলিং মেশিনে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে উত্তরকাশী টানেলে উদ্ধার অভিযান আবার থমকে গেছে। বৃহস্পতিবার যখন উদ্ধার অভিযান শেষ পর্যায়ে ছিল তখন যে প্ল্যাটফর্মে যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে সেখানে কিছু ফাটল দেখা দেয়। আন্তর্জাতিক টানেলিং বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে এবং উদ্ধারকারী দল শ্রমিকদের ফিরে আসার পথ খুঁজে পাওয়া থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে।
অপারেশনের গতি বাড়ানোর জন্য দিল্লি থেকে সাত বিশেষজ্ঞের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রথম ৬ মিটার পাইপটি ইতিমধ্যেই ঢোকানো হয়েছে। একই দৈর্ঘ্যের পরবর্তী পাইপের ড্রিলিংয়ের জন্য ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার অভিযান সফল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, সুড়ঙ্গ থেকে বের করার পর শ্রমিকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। তার জন্য ৪১টি অ্যাম্বুল্যান্স মোতায়েন করা হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে হেলিকপ্টারও। এছাড়াও ঋষিকেশের এইমস হাসপাতালে আইসিইউ বেড রাখা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় তবে শ্রমিকদের এইমসে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার উত্তরকাশীর জেলা হাসপাতালেও ব্যবস্থা করেছে। কারণ শ্রমিকদের প্রথমে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে। তাঁদের জন্য ট্রমা এবং আইসিইউ বেড সংরক্ষিত আছে।
এনডিআরএফ কর্মীরা এখন স্ট্রেচারে বিয়ারিং এবং চাকা লাগাচ্ছে। যাতে আটকে পড়া শ্রমিকদের সেগুলিতে শুইয়ে টেনে আনা যায়, তাহলে তাঁদের দীর্ঘ পাইপের মধ্য দিয়ে হামাগুড়ি দিতে হবে না। এক এক করে শ্রমিকদের বের করা হবে। তার জন্য় তৈরি রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা।