ভারতকে চাপে রাখতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই তিনি H1B ভিসায় নতুন শর্ত আরোপ করেছেন। এখন থেকে এই ভিসা পেতে চাইলে ১০০,০০০ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে। আর এই ফি লাগু হওয়ার পর থেকেই ভারতে NRI পাত্রের কদর কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন একটি রিপোর্টের তরফে দাবি, আগে যেই সকল পরিবার নিজের কন্যা সন্তানের জন্য NRI পাত্র খুঁজতেন, তাঁরা এখন সেই দিকে পা বাড়াতে চাইছেন না। তাঁরা ট্রাম্পের এহেন অদ্ভুত পলিসিতে ভয় পেয়ে গিয়েছেন। যেই কারণে ভারতে কর্মরত পাত্রের খোঁজই বাড়ছে।
ট্রাম্পের H1B ভিসা বোম কী?
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি ইতিমধ্যেই ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। পাশাপাশি মোদীকে চাপে রাখতে H1B ভিসার শর্তেও এনেছেন বদলে। এখন থেকে কোনও মার্কিন সংস্থা যদি ভারত থেকে কোনও দক্ষ শ্রমিক নিতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফি হিসাবে ১০০,০০০ মার্কিন ডলার দিতে হবে। এটা প্রায় ভারতীয় টাকায় ৮৮.১০ লক্ষের সমান।
আর এই নিয়ম ঘোষণার পরই চাপে রয়েছে ভারত। কারণ, আমেরিকায় এই ভিসায় কর্মরতদের মধ্যে ভারতীয়রাই রয়েছে প্রথম স্থানে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অর্থবর্ষে এইচ১বি ভিসায় আমেরিকায় কর্মরতদের মধ্যে ৭১ শতাংশ ভারতীয়। আর ট্রাম্পের ঘোষণার পর সেই সব কর্মরতদের রাতের ঘুম উড়েছে। তাঁরাও ভাবছেন কী হয়, কী হয়!
যদিও বিতর্কের পর তড়িঘড়ি নতুন নিয়মের ব্য়াখ্যা দেন মার্কিন প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট। তিনি জানান, যাঁদের এতদিন ভিসা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই নিয়ম নয়। বরং যাঁরা নতুন করে এই ভিসায় কাজ করবেন, তাঁদের জন্য এই নিয়ম লাগু করা হল।
NRI পাত্র চাইছেন না কেউ
নতুন ভিসা নীতি সামনে আসার পর থেকেই ভারতীয় পরিবারের মধ্যে NRI পাত্রের চাহিদা কমেছে। এই বিষয়ে রয়টার্সের একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, এইচ১বি ভিসা ফি বাড়ার পরই ভারতীয় পরিবারেরা নিজের কন্যাকে আমেরিকায় কর্মরত পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দিতে চাইছেন না। যার সহজ অর্থ হল এখন থেকে NRI-পাত্রের দর গেল কমে।
এই বিষয়ে ম্যাচমেকিং সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত অনুরাধা গুপ্ত জানান, এই বিষয়ে কোনও সরকারি তথ্য সামনে আসেনি। তবে ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর মানুষের ভাবনায় কিছুটা হলেও বদল এসেছে।