বিহার ভোটের রেজাল্টবিহারে ভোট গণনা চলছে। আর্লি ট্রেন্ডে এগিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন NDA বা জেডিইউ-বিজেপি জোট। তারা ১৩৭টি (সকাল ৯টা ২১ মিনিট পর্যন্ত) সিটে এগিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ পেরিয়ে গিয়েছে ম্যাজিক ফিগার। অপরদিক বিরোধী আরজেডি, বাম, কংগ্রেস জোট এগিয়ে রয়েছে ৭০টি সিটে।
একক দল হিসাবে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তারা এগিয়ে রয়েছে ৭১টি সিটে। এরপর রয়েছে জেডিইউ। তাদের এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা ৫৮। এনডিএ জোটের হ্যাম ১টি সিটে ও এলজিপিআরভি ৭টি সিটে এগিয়ে রয়েছে।
ও দিকে বিরোধী জোটের আরজেডি ৬০টি সিটে রয়েছে এগিয়ে। এছাড়া ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত ১০টি সিটে এগিয়ে। সিপিআইএমএল ৩টি সিটে, ভিআইপি ১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
মাথায় রাখতে হবে গত বিধানসভা ভোটে ১২৫টি আসনে জিতেছিল এনডিএ। আর ১১০ সিটে জিতেছিল বিরোধী জোট। এখন প্রশ্ন হল, সেই ফলের থেকেও কি কমে আটকে যাবে বিরোধী জোট?
কে কোথায় এগিয়ে?
বিহারে কত সিটে ভোট?
বিহার বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪৩টি। ম্যাজিক ফিগার ১২২টি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট গণনা। এখন দেখার এনডিএ না বিরোধী জোট ক্ষমতা দখল করে নেয়।
এ দিনের জয় নিয়ে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিল এনডিএ। দিল্লিতে BJP পার্টি অফিসে এলাহি আয়োজন। তৈরি হচ্ছে লিট্টি চোখা, জিলিপি, ছাতুর পরোটা, বেগুন ভর্তা। জয় নিশ্চিত দাবি করে এ বার পটনায় বিজেপির সদর দফতরে উৎসব পালনের জন্য ৫০০ কিলোগ্রাম লাড্ডুর বরাত দেওয়া হয়েছে।
ও দিকে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তেজস্বীও। তিনি সকালে বলেন, 'আমরা জিততে চলেছি। সবাইকে ধন্যবাদ। একটা বদল আসতে চলেছে। আমরা সরকার গঠন করব।'
ইস্যু কী ছিল?
এ বার বিহার ভোটের ময়দানে মূলত দুটি ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে। সরকারে থাকা বিজেপি ও জেডিইউ নেতারা ক্রমাগত লালু প্রসাদ যাদবের সময়ের জঙ্গলরাজের কথা তুলেছেন। তাদের বারবার তুলে ধরেছেন সেই সময়ের রাহাজানি, অপহরণ, খুনের ঘটনা। অন্যদিকে, তেজস্বীর আবার চাকরি নিয়ে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এককালীন টাকা দেওয়ার ঘোষণাও করেন।
কী বলছে আর্লি ট্রেন্ড?
আর এই আর্লি ট্রেন্ডে এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে এনডিএ পটনা দখলের কাজে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার এই ট্রেন্ড দেখে কিছু মন্তব্য করতে নারাজ। তাদের মতে, এখনও অনেক রাউন্ড ভোট গণনা বাকি রয়েছে। সেখানে অনেক কিছু বদল হয়ে যেতে পারে। তাই এখনই কিছু বলা যাবে না।