এখন কৃষকরা ঐতিহ্যবাহী চাষ থেকে এমন ফসলের দিকে ঝুঁকছেন যেখানে পরিশ্রম কম এবং লাভ বেশি। ফারুখাবাদের একজন কৃষক ঝিঙে চাষের মাধ্যমেও একই রকম কিছু করেছেন। মাত্র ২ মাসের কঠোর পরিশ্রমে তিনি এক বিঘা জমি থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা আয় করেছেন। ঐতিহ্যবাহী চাষ ছেড়ে কৃষকরা আজকাল সবজি উৎপাদন করতে ব্যস্ত। একই সঙ্গে আপনি যদি এই সময়ে আগেভাগে সবজি চাষ করতে চান, তাহলে এই তথ্যটি আপনার জন্য বিশেষ হতে পারে।
ঝিঙে সব সবজির মধ্যে একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে বিবেচিত হয়। এর গাছপালা লতাপাতার মতো ছড়িয়ে পড়ে, তাই এটিকে সবজির শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। সাধারণত এই ফসল দুই মাসের মধ্যে তৈরি হয়। তবে ফারুখাবাদের একজন কৃষক বিশেষ এবং উন্নত জাতের ঝিঙে চাষ করেছেন, যা বাম্পার ফলন দেয়। বীজ লাগানোর প্রায় এক মাস পর জমিতে ঝিঙে ধরতে শুরু করে, যা সাধারণত বাজারে বেশি দামে বিক্রি হয়, যা কৃষকদের ভাল লাভ দেয়।
গরম এবং আর্দ্র জলবায়ু ঝিঙে চাষের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। ভাল চাষের জন্য ২৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুকূল। একই সঙ্গে এর ফসলের জন্য মাটির pH মান ৬.৫ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিত, যাতে গাছের বৃদ্ধি ভাল হয় এবং ফলন বেশি হয়। ঝিঙে চাষের জন্য আর্দ্র জমিতে জৈব সার প্রয়োগের পর ভালভাবে চাষ করে সমতল করা হয়। এরপর ২.৫ x ২ মিটার দূরত্বে, ৩০ সেমি x ৩০ সেমি x ৩০ সেমি আকারের গর্ত খুঁড়ে চারা বা বীজ লাগানো হয়। সময়মত সেচ এবং আগাছা পরিষ্কার করা প্রয়োজন। গাছগুলি বড় হয়ে গেলে এক মাসের মধ্যে উন্নত জাতের লাউ ফসল কাটার জন্য তৈরি হয়।
বাজারে প্রাথমিকভাবে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দাম বিক্রি করা যায়। এটি মূলত সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এক বিঘা জমিতে ঝিঙে চাষ করলে সহজেই প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় হয়।