RJD-র সঙ্গত্যাগ করেছেন নীতীশ কুমার। NDA-তে যোগ দিয়ে নবমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছেন তিনি। তার মধ্যেই বিপদ বাড়ল RJD নেতা লালু প্রসাদ যাদবের। চাকরির বদলে জমি দুর্নীতি মামলায় ED দফতরে হাজিরা দিলেন তিনি। সোমবার পাটনার ED দফতরে হাজিরা দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক মেয়ে এবং মামলার আরও এক অভিযুক্ত।
এদিকে লালু প্রসাদ যাদবের দলের সমর্থকরা এর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাছেন। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই লালুকে ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
সূত্রের খবর, লালু প্রসাদ যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রবিবার রাতেই দিল্লি থেকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল এসেছে পাটনায়। সেই আধিকারিকরাই জিজ্ঞাসাবাদ করবেন লালুকে।
গত ১৯ জানুয়ারি লালু যাদব এবং তেজস্বী যাদবকে নতুন সমন জারি করে ED। লালু যাদবের স্ত্রী এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর পাটনায় সেই সময় পৌঁছে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সমন অনুযায়ী ২৯ এবং ৩০ জানুয়ারি সশরীরের লালু যাদবকে হাজিরা দিতে বলা হয়।
শনিবার, দিল্লির একটি আদালত রাবড়ি দেবী এবং কন্যা হেমা যাদব এবং অন্যদের একই মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি হাজির হওয়ার জন্য সমন করে। লালু যাদবের সঙ্গে রাবড়ি দেবী এবং মিসাও এই মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন। যার তদন্ত করছে সিবিআই।
এদিকে, আরজেডি নেতৃত্ব ইডির পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার আরজেডির বিরুদ্ধে এজেন্সিকে ব্যবহার করছে। আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝাঁ বলেছেন, 'এটি ইডির সমন নয়, বিজেপির সমন। ২০২৪ সাল পর্যন্ত এসব চলতে থাকবে। ততক্ষণ পর্যন্ত দয়া করে এটিকে ইডি সমন বলবেন না। আমরা ভয় পাচ্ছি না। আমাদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।'
RJD-কে পাল্টা দিয়েছেন বিহারের নতুন উপ মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী। তিনি বলেন, 'দেশের মানুষ জানে যে এরা (লালু যাদব) দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতি করার ক্ষেত্রে এরা সবাই এক একটি রত্ন। আমি তেজস্বী যাদবকে অনুরোধ করছি বিহারের যুবকদের জানাতে যে কীভাবে দেড় বছরের মধ্যে কোটিপতি হওয়া যায়।'