নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ নির্বাচন কমিশনের। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশের পর স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ইলেক্টোরাল বন্ডের ডেটা নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করেছিল। নির্বাচন কমিশন সেই সমস্ত তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। আগামিকাল নির্বাচনী বন্ড মামলার শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। ভারতের নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। আবেদনে গত ১১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া আদেশ সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে।
আবেদনে ১২ এপ্রিল ২০১৯ এবং ২ নভেম্বর, ২০২৩ এর আদেশ অনুসারে নির্বাচন কমিশন সিল করা খামে/বাক্সে SC-এর সামনে উপস্থাপিত নথি/ডেটা/তথ্য প্রকাশের নির্দেশও চাওয়া হয়।
এই পিডিএফ-এ কে নির্বাচনী বন্ড কিনেছেন, কোন দল নির্বাচনী বন্ড রিডিম করেছে তা দেখুন
https://www.eci.gov.in/disclosure-of-electoral-bonds
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে শেয়ার করা তথ্যে, ১২ এপ্রিল, ২০১৯ সাল থেকে ১০০০ টাকা থেকে ১ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কেনার তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে কোন কোম্পানি এবং কোন ব্যক্তি বন্ড কিনেছেন তা দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনী বন্ডের তথ্য সর্বজনীন করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মেনে, এসবিআই মঙ্গলবার সন্ধেয় যে সংস্থাগুলি এখন মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল এবং যে রাজনৈতিক দলগুলি সেগুলি পেয়েছিল তাদের বিবরণ জমা দিয়েছে।
নির্বাচনী অনুদান কারা পেয়েছে এবং কারা দিয়েছে?
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী যারা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে নির্বাচনী অনুদান গ্রহণ করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস, এআইএডিএমকে, বিআরএস, শিবসেনা, টিডিপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল। ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে যারা রাজনৈতিক দলকে দান করেছেন তাদের তালিকায় রয়েছে গ্রাসিম ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং, পিরামল এন্টারপ্রাইজ, টরেন্ট পাওয়ার, ভারতী এয়ারটেল, ডিএলএফ কমার্শিয়াল ডেভেলপারস, বেদান্ত লিমিটেড, অ্যাপোলো টায়ারস, লক্ষ্মী মিত্তাল, এডেলউইস, পিভিআর, কেভেনটার, সুলা ওয়াইনস। ওয়েলস্পন, সান ফার্মা এবং অন্যান্য।
সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দেয়
নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করার সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য SBI সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল, কিন্তু আদালত SBI-এর দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং ১২ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সাথে সমস্ত বিবরণ শেয়ার করতে বলেছিল। এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট ইলেক্টোরাল বন্ড স্কিমটিকে 'অসাংবিধানিক' আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিল। এছাড়াও, এসবিআইকে ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে সমস্ত বিবরণ জমা দিতে বলা হয়েছিল। এই বিষয়ে SBI ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এসবিআইয়ের দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং ১২ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে সমস্ত বিবরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এছাড়াও, নির্বাচন কমিশনকে ১৫ মার্চ বিকেল ৫ টার মধ্যে ওয়েবসাইটে এই সমস্ত বিবরণ আপলোড করতে বলা হয়েছিল। সেইমতো তা প্রকাশ করা হয়।