Sambhal Mosque And Temple Case: সম্ভলের শাহী জামা মসজিদের সার্ভের অ্যাডভোকেট কমিশনের রিপোর্ট বন্ধ খামে কোর্টে পেশ করা হয়েছে। এই সার্ভের রিপোর্টের ইনসাইড ডিটেল সামনে চলে এসেছে। জানিয়ে দেওয়া যাক যে জামা মসজিদের আগে মন্দির হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মসজিদের ভিতরে দুটো বটগাছ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে হিন্দু ধর্মের মন্দিরেই এই ধরণের বটগাছ পুজো হত। শুধু তাই নয়, মসজিদে কুয়াও পাওয়া গিয়েছে। যেটি অর্ধেক ভিতরে এবং অর্ধেক বাইরে। বাইরের অংশটি ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
সম্ভলে জামা মসজিদের ভিতরে হওয়া সার্ভের অ্যাডভোকেট কমিশনের রিপোর্ট সিনিয়র ডিভিশনের সিভিল জাজ আদিত্য সিং এর কোর্টে পেশ করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট কমিশনার রমেশ রাঘব এই রিপোর্ট কোর্টে পেশ করেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই সার্ভে রিপোর্টে শাহী জামা মসজিদের মন্দির হওয়ার একাধিক প্রমাণ মিলেছে।
জামা মসজিদের সার্ভের আগের দিন অর্থাৎ ১৯ নভেম্বর ২০২৪ এ প্রায় দেড় ঘন্টা ভিডিওগ্রাফি হয়েছে। দ্বিতীয় দিন প্রায় তিন ঘন্টা ভিডিওগ্রাফি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ১২শো ফটো নেওয়া হয়েছে। সমস্ত বিষয়ে অনুপুঙ্খ খতিয়ে দেখার পর মসজিদের ভেতরে ৫০ এর বেশি ফুলের মতো চিহ্ন এবং কারুকার্য দেখা গিয়েছে। সেখানে কিছু অংশ প্লেন করে দেওয়া হয়েছে। পুরনো ছাঁচ বদলে দেওয়ার প্রমাণও মিলেছে সঙ্গে সেই জায়গাতে নতুন কনস্ট্রাকশনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মন্দিরের ওপর প্লাস্টার লাগিয়ে পেইন্ট করে দেওয়া হয়েছে। মসজিদের ভিতরে যেখানে বড় গম্বুজ রয়েছে তারপর ঝাড়বাতি চেন দিয়ে বেঁধে ঝোলানো হয়েছে। এই রকম চেন মন্দিরে ব্যবহার করা হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী বিবদমান স্থল থেকে এই ধরনের প্রতীক পাওয়া গিয়েছে। ওই সময়ের মন্দিরে এবং দেবালয়ে এই ধরণের প্রতীক পাওয়া যেত। মন্দিরের দরজা, জানালা এবং অলংকৃত দেওয়ালে প্লাস্টার লাগিয়ে পেইন্ট করে দেওয়া হয়েছে। যাতে পুরনো নির্মাণ ঢেকে যায়।
জানা গিয়েছে যে সম্ভলের আদালতে আদেশের উপর ১৯ নভেম্বর কোর্ট গরবি এলাকায় মুঘল আমলের শাহী জামা মসজিদের সার্ভে করার পর থেকেই থমথমে পরিবেশ। আসলে কোর্টের দায়ের করা পিটিশানে দাবি করা হয়েছে যে যেই জায়গাতে মসজিদ তৈরি হয়েছে, সেটি আগে হরিহরনাথ মন্দির ছিল। ২৪ নভেম্বর যখন মসজিদ, দ্বিতীয় সার্ভের জন্য টিম আসে, তখন সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয় এবং একাধিক জখম হয়েছেন।