'ভোট চুরি' ইস্যুতে সরগরম রাজনীতি। তবে সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিলেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনাররা। যদিও ভোট প্রক্রিয়ায় কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে বলেও স্বীকার করলেন প্রাক্তন ভোটকর্তারা। সোমবার ইন্ডিয়া টুডে সাউথ কনক্লেভের মঞ্চে এমনটাই জানালেন তাঁরা।
গত কয়েক সপ্তাহ জুড়েই বিরোধীরা ক্রমেই ভোট কারচুপির অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারকে কোণঠাসা করে চলেছেন। সেই বিষয়ে মতাত জানতে চাওয়া হলে, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা বলেন, 'এখন ভারতে যে ভোটটা হয়, তার প্রায় সম্পূর্ণটাই স্বচ্ছ, ফেয়ার। ট্র্যাক রেকর্ড ঘাঁটলেই তা প্রমাণ করে দেওয়া যাবে। আর এই যে ভোট চুরির বিষয়টি বারবার বলা হচ্ছে, আমার মনে হয় এটা একটা অরাজনৈতিক উক্তি(Apolitical Expression)। এটিকে যে কীভাবে নেব, আমি ঠিক বুঝতে পারি না। কারণ কে কাকে ভোট দিয়েছেন, তা কোনওভাবেই কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে হ্যাঁ, এক্ষেত্রে ইস্যুটা হল ইলেকশন কমিশনের নির্ভরযোগ্যতা ও সততা।'
কিন্তু ভোটার তালিকায় যে গরমিলের অভিযোগ উঠছে?
কিছু সমস্যা যে আছে, সেটাও স্বীকার করলেন প্রাক্তন CEC এস ওয়াই কুরেশি। বললেন, 'ভোট চুরির দাবি রাজনৈতিক ইস্যু। তবে পাশাপাশি এটাও বলব যে, ইলেক্টোরাল রোল নিয়ে যে উদ্বেগের ব্যাপারটা রয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনও বলা যায় না। আমি বরাবরই এটা বলে এসেছি যে, এই ইলেক্টোরাল রোলের জায়গাটা আমাদের দুর্বল অংশ। কিন্তু এই অংশই দেশের ভোট, নির্বাচনের স্বচ্ছতার মূল ভিত। এই ইলেক্টোরাল রোলই যদি নির্ভুল এবং স্বচ্ছ না হয়, তাহলে সেই নির্বাচনেরও আর কোনও অর্থ থাকে না।'
ভুল যে থাকতে পারে, স্বীকার করলেন প্রাক্তন CEC ওপি রাওয়াতও। বললেন, 'রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিরসনের সবচেয়ে সহজ উপায় হল নির্বাচন। ভোটের সময় কিছুই হবে না, সবকিছু একেবারে সুষ্ঠুভাবে হবে... সেটা ভাবলেও একটু বেশিই আশা করে ফেলছেন। ফলে এগুলো বলার সময় সেই বিষয়টিও মাথায় রাখুন। কিছু ঘটনা ঘটবেই, ভোটের সময় গোলমাল হবেই।'
তবে বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রগুলির নিরিখে ভারত যে নির্বাচন ব্যবস্থায় এক নম্বরে, সে কথাও মনে করিয়ে দিলেন। বললেন, 'ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা এক কথায় গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই আমাদের ভোটকে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নির্ভরযোগ্য বলে প্রশংসা করে।'