Taslima Nasrin on Zubeen Garg: ‘জুবিন বাঙালি শিল্পীদের মতো ভদ্রলোক সাজার চেষ্টা করেননি’, বিস্ফোরক পোস্ট তসলিমার

আসামের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গের মৃত্যু ঘিরে দেশজুড়ে শোক ছড়িয়েছে। তাঁর প্রতি অগণিত মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে গৌহাটির রাস্তায়, যেখানে লক্ষাধিক মানুষ কফিনের সঙ্গে হেঁটেছেন। এই আবেগঘন মুহূর্তকে ঘিরেই তসলিমা নাসরিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, জুবিন ছিলেন নির্লোভ, উদার এবং অকৃত্রিম।

Advertisement
‘জুবিন বাঙালি শিল্পীদের মতো ভদ্রলোক সাজার চেষ্টা করেননি’, বিস্ফোরক পোস্ট তসলিমারজুবিন গর্গ ও তসলিমা নাসরিন।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • আসামের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গের মৃত্যু ঘিরে দেশজুড়ে শোক ছড়িয়েছে।
  • তাঁর প্রতি অগণিত মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে গুয়াহাটির রাস্তায়, যেখানে লক্ষাধিক মানুষ কফিনের সঙ্গে হেঁটেছেন।

আসামের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গের মৃত্যু ঘিরে দেশজুড়ে শোক ছড়িয়েছে। তাঁর প্রতি অগণিত মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে গুয়াহাটির রাস্তায়, যেখানে লক্ষাধিক মানুষ কফিনের সঙ্গে হেঁটেছেন। এই আবেগঘন মুহূর্তকে ঘিরেই তসলিমা নাসরিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, জুবিন ছিলেন নির্লোভ, উদার এবং অকৃত্রিম। তিনি নিজেকে কখনও আড়াল করেননি, বরং নিজের খামতি, অভ্যাস ও ব্যক্তিত্বের প্রতিটি দিক খোলাখুলিভাবে তুলে ধরেছেন।

তসলিমার বক্তব্য অনুযায়ী, জুবিন নিজেকে বলতেন ‘সোশ্যাল লেফটিস্ট’। তিনি ছিলেন বন্যার্ত ও দরিদ্র মানুষের পরম সহায়, ১৫টি শিশুকে লালনপালন করেছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন এবং শক্তিশালী কারও সঙ্গে আপোস করেননি। যশ-খ্যাতির শীর্ষে থেকেও তিনি সাধারণ জীবনযাপন করেছেন, রাস্তার দোকান থেকে খাবার কিনে বেঞ্চে বসে খাওয়া, কিংবা মদ্যপানের স্বীকারোক্তি, সবটাই অকপটে প্রকাশ করেছেন।

তসলিমা লেখেন, জুবিন কখনও অহংকার করেননি, নিজেকে সাজিয়ে বাঙালি শিল্পীদের মতো ভদ্রলোক প্রমাণ করার চেষ্টা করেননি। গায়ে ট্যাটু করিয়েছেন, ফ্ল্যাটবাড়িতে থেকেছেন, আসামকে নিজের প্রকৃত ঘর হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাঁর ঘোষণা ছিল, জাত নেই, ধর্ম নেই, ভগবান নেই, রাজনৈতিক দল নেই। তাই তাঁর মৃত্যুশোকে সব ধর্ম, সব জাতি, সব দলের মানুষ কেঁদেছে।

তবে মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি সঙ্গীদের অবহেলার দিকেও আঙুল তুলেছেন। তসলিমার দাবি, জুবিনের মৃত্যু সিজার বা মদ্যপানের কারণে নয়, বরং অনুপযুক্ত লাইফ জ্যাকেট ও সঠিক সময়ে উদ্ধার না করার জন্য। তাঁর মতে, যদি সঙ্গীরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতেন, পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।

পোস্টের শেষদিকে তসলিমা একটি প্রশ্নও তোলেন, 'জুবিন যদি বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিবারে জন্মাতেন এবং জাত-ধর্ম ছুঁড়ে ফেলতেন, তাহলে কি তাঁর গানের জন্য এই সম্মান ও ভালোবাসা পেতেন, যেমন আসামের মানুষ তাঁকে দিয়েছে?

POST A COMMENT
Advertisement