scorecardresearch
 

বাংলার 'তোলা'য় পেট ভরছে না তৃণমূলের, গোয়া-ত্রিপুরার দিকে নজর : লকেট

তৃণমূল নেতাদের গোয়া ও ত্রিপুরা সফরে কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ ও উত্তরাখণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, চাঁদা এবং তোলাবাজি বাংলায় একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। এ রাজ্যে পেট ভরছে না, তাই অন্য রাজ্যে যাচ্ছে তৃণমূল।

Advertisement
লকেট চট্টোপাধ্যায় লকেট চট্টোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • চাঁদা ও তোলাবাজি শিল্পে বাংলা এগিয়ে
  • এ রাজ্যে পেট ভরছে না, তাই অন্য রাজ্যে নজর
  • তৃণমূলনেত্রীর নাকের ডগা দিয়ে তোলাবাজি চলছে

বিজেপি সাংসদ এবং উত্তরাখণ্ডের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেত্রী, লকেট চট্টোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতাদের গোয়া ও ত্রিপুরা সফরে কটাক্ষ করে বলেন চাঁদা এবং তোলাবাজি বাংলায় একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে।

অসীমা পাত্র ঘনিষ্ঠদের অত্যাচার !

হুগলির ধনিয়াখালির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে লকেট বলেন, সম্প্রতি ধনিয়াখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের ঘনিষ্ঠ রাজীব বসু রাই নামে এক জন, স্থানীয় এক তিরুপতির কাছ থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের ৫০ হাজার টি-শার্ট দাবি করেছিলেন, দাবি পূরণ হয়নি। অসীমা পাত্রের কাছাকাছি থাকায় এবং তার লোকজন ব্যবসায়ীর কারখানায় পৌঁছে তার তিন কর্মচারীকে অপহরণ করে।

রাজ্যে শিল্পপতিদের উপর অত্যাচার নিয়ে নীরব মমতা

বাংলায় শিল্প নিয়ে আসার জন্য যখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের এক কোণ থেকে অন্য কোণে ঘুরে বেড়ান, তখন এই রাজ্যেরই হুগলি জেলায় এক শিল্পপতির কাছে চাঁদা দাবি করে তৃণমূলের লোকজন। আর তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা তাদের কর্মীদের অপহরণও করে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নীরব? প্রশ্ন তাঁর।

বাংলার তোলার পয়সায় পেট ভরছে না

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতাদের গোয়া ও ত্রিপুরা সফর নিয়ে কটাক্ষ করে লকেট বলেন, আজ  সারা বাংলা পরিণত হয়েছে তোলাবাজি শিল্পে। বর্তমান সময়ে তৃণমূল একটি বড় রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হয়েছে। তৃণমূলকে এই দল চালানোর জন্য বাংলা থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে চালানো যাচ্ছে না। সেই কারণেই AAP, গোয়া ও ত্রিপুরার দিকে এগোচ্ছে তৃণমূল।

বাংলাকে ধ্বংস করে অন্য় দুই রাজ্যের দিকে নজর

বিজেপি সাংসদ অভিযোগ করেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলাকে ধ্বংস করেছে, এখন তারা গোয়া এবং ত্রিপুরাকে ধ্বংস করতে তাদের ঘাম ঝরছে। ভিডিও কথোপকথনের মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছেন লকেট চ্যাটার্জি।

Advertisement

Advertisement