Fake Embassy: গডম্যানের সঙ্গে যোগ ভূয়ো দূতাবাসের হর্ষবর্ধনের, বিদেশ গিয়েছেন ১৬২ বার

বিতর্কিত ধর্মগুরু থেকে শুরু করে অস্ত্র ব্যবসায়ী, সকলের সঙ্গেই যোগসাজশ ছিল ভুয়ো দূতাবাস খুলে নিজেকে ভুয়ো রাষ্ট্রদূত হিসেবে দাবি করা গাজিয়াবাদের হর্ষবর্ধন জৈনের। নয়া STF তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে তার সম্পর্কে।

Advertisement
গডম্যানের সঙ্গে যোগ ভূয়ো দূতাবাসের হর্ষবর্ধনের, বিদেশ গিয়েছেন ১৬২ বারভুয়ো দূতাবাস খুলে নিজেকে রাষ্ট্রদূত দাবি করা হর্ষবর্ধন জৈন
হাইলাইটস
  • ১০ বছরে ১৬২ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছে হর্ষবর্ধন জৈন
  • ভুয়ো দূতাবাসের পাশাপাশি একাধিক কোম্পানির নামে রেজিস্ট্রেশনও ছিল
  • বিতর্কিত ধর্মগুরু এবং অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গেও মিলল লিঙ্ক

বিশ্বের মানচিত্রে 'মাইক্রোনেশন' হিসেবে পরিচিত এমন দেশের ভুয়ো দূতাবাস তৈরি করে বিদেশে ঋণ দেওয়ার নামে ৩০০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির অভিযোগে প্রতারককে হাতেনাতে পাকড়াও করেছে STF। গাজিয়াবাদের এই ঘটনায় STF-এর হাতে এবার উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ১০ বছরে ১৬২ বার বিদেশ যাত্রা করেছে অভিযুক্ত এই হর্ষবর্ধন জৈন। ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত নথি হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।

প্রায় প্রতিদিনই তদন্তে হর্ষবর্ধন জৈন সম্পর্কে নানাবিধ তথ্য উঠে আসছে। নয়ডা STF সূত্রে খবর, ওই ভুয়ো দূতাবাসের ঠিকানা দেখিয়ে বিদেশে একাধিক কোম্পানির রজিস্ট্রেশন করে রেখেছিল। এহসান আলি সৈয়দ নামে এক সাকরেদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রেজিস্ট্রেশন হওয়া মোট ২৫টি ভুয়ো সংস্থার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই হর্ষবর্ধনকে হেফাজতে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে নয়ডা STF। তাকে সোমবার আদালতে তোলা হবে।

জানা গিয়েছে, এই এহসান আলি সৈয়দ হায়দরাবাদের বাসিন্দা। তার তুরস্কের নাগরিকতা রয়েছে। ২০২২ সালে তিনি একটি সুইস সংস্থা চালাত। সেখানে ৩০০ কোটি টাকার নয়ছয় করার অভিযোগ লন্ডনে গ্রেফতারও হয়।

গাজিয়াবাদের একটি ভাড়াবাড়িকে ২০১৭ সাল থেকে ‘গ্র্যান্ড ডাচি অব ওয়েস্টার্কটিকা’র দূতাবাস হিসেবে চালাচ্ছিলেন হর্ষবর্ধন জৈন। বাড়ির সামনে লাগানো ছিল ভারতের ও 'ওয়েস্টার্কটিকা'র পতাকা, সঙ্গে ছিল ‘Honorary Consul’ টাইটেল-সহ নামফলক। এখান থেকেই বিদেশে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু মানুষকে প্রতারিত করত হর্ষবর্ধন জৈন। 

পুলিশের তল্লাশিতে হর্ষবর্ধন জৈনের সঙ্গে বিতর্কিত 'ধর্মগুরু' চন্দ্রস্বামী ও সৌদি অস্ত্র ব্যবসায়ী আদনান খাশোগির ছবিও পাওয়া গিয়েছে। চন্দ্রস্বামী ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের আধ্যাত্মিক উপদেষ্টা, যিনি পরে আর্থিক জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে অর্থসাহায্যের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তদন্তে উঠে এসেছে, চন্দ্রস্বামীই জৈনকে পরিচয় করিয়েছিলেন এহসান আলি সৈয়দের সঙ্গে। 

হর্ষবর্ধন জৈনের গ্রেফতারের পর, ‘মাইক্রোনেশন’ ওয়েস্টার্কটিকা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে— জৈনকে ২০১৬ সালে অনুদানের বিনিময়ে ‘Honorary Consul to India’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল, কিন্তু কখনও রাষ্ট্রদূতের পদ বা ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তার বাড়িতে উদ্ধার হওয়া কূটনৈতিক নম্বর প্লেট, পাসপোর্ট ও সিল-সম্বলিত সামগ্রী অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে। ওয়েস্টার্কটিকা তার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং তদন্তে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement