haryanaছুটির দিন ছিল। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সাফাইকর্মী মহিলাকে অফিসে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু তাঁরা জানিয়েছিলেন পিরিয়ডসের জন্য আসতে পারবেন না। তখন তাঁদের প্রমাণ হিসেবে প্যাডের ছবি পাঠাতে হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য হরিয়ানার রোহতকের মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ঘটনা গত রবিবারের। হরিয়ানার রাজ্যপাল অসীম কুমার ঘোষ সেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছিলেন। তবে ছুটি থাকার পরও সাফাইকর্মী মহিলাদের ডাকা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এক সাফাইকর্মী জানান, ছুটি থাকা সত্ত্বেও তাঁদের তিন সাফাইকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বলা হয়েছিল। তাঁরা জানিয়েছিলেন পিরিয়ডসের কথা। কিন্তু তা সুপার ভাইজার বিশ্বাস করেননি। তাঁদের প্যাডের ছবি পাঠাতে বলা হয়। এটা নাকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ। এরপর সেই মহিলারা তাঁদের ব্যবহৃত প্যাডের ছবি পাঠান। অভিযোগ, তারপরও ছুটি মঞ্জুর করা হয়নি।
আর একজন অভিযোগকারিণী বলেন, 'রবিবার থাকার পরও আমাদের ডাকা হয়েছিল। আমাদের সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। কিন্তু রেজিস্ট্রার ও সুপার ভাইজার আমাদের অফিসে যেতে বলেন। তিনজনের মধ্যে একজন যান। আমরা দুজন ছুটির আবেদন করি। তখন সুপারভাইজার বলেন, আমরা কীভাবে তিনজন একসঙ্গে ছুটি নিতে পারি? এরপর তিনি প্যাডের ছবি পাঠাতে বলেন।
এরপর ছুটি না পেয়ে অভিযোগকারিণীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। একাধিক ছাত্র সংগঠনও সেই বিক্ষোভে সামিল হয়। রেজিস্ট্রারের তরফে অভিযুক্ত সুপার ভাইজারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার তফসিলি জাতি কমিশনের প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। তারপর দুই সুপার ভাইজারকে বরখাস্ত করা হয়। মামলার আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে তা কাঙ্খিত নয়। সুপার ভাইজারের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া দরকার। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার দায় অস্বীকার করতে পারেন না।'
রেজিস্ট্রার কে কে গুপ্তা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে। অভিযোগ পাওয়ার পরই দুই কর্মীকা বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলারা।