২৮ পাতার নোট লিখে আত্মহত্যা ওলার ইঞ্জিনিয়ারের, মালিক ভবিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

ওলা ইলেকট্রিকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন কে অরবিন্দ। গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে।

Advertisement
২৮ পাতার নোট লিখে আত্মহত্যা ওলার ইঞ্জিনিয়ারের, মালিক ভবিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের OLA CEO
হাইলাইটস
  • ওলা ইলেকট্রিকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন কে অরবিন্দ
  • গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি

ওলা ইলেকট্রিকের CEO ভবিশ আগরওয়াল এবং ওই কোম্পানিরই এক কর্মী সুব্রত দাসের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ। গত ৬ অক্টোবর বেঙ্গালুরুর এক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এসেছে। 

ওলা ইলেকট্রিকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন কে অরবিন্দ। গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ দানা বাঁধে তখনই যখন দেখা যায়, অরবিন্দের মৃত্যুর ২ দিন পর তাঁর অ্যাকাউন্টে ১৭.৪৬ লক্ষ টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে। এরপর পুলিশ তদন্তের গতি বাড়িয়ে দেয়। তাদের তরফে কোম্পানির এইচআর ও কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এরপর তদন্তকারীদের তরফে মৃত অরবিন্দর ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ২৮ পাতার নোট রেখে গিয়েছেন অরবিন্দ। সেখানে নিজের মৃত্যুর জন্য সুব্রত কুমার দাস ও সিইও আগরওয়ালকে দায়ি করে গিয়েছেন তিনি। সঙ্গে এও অভিযোগ করেছেন, তাঁকে দিনের পর দিন কাজের চাপ দেওয়া হত, মানসিক নির্যাতন চালানো হত। বকেয়াও পরিশোধ করা হত না। 

এদিকে এই সুইসাইড নোট উদ্ধারের পর মৃতের পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ বর্তমানে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

ওই কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ওলার তরফে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। তাদের তরফে লেখা হয়, 'আমাদের সহকর্মী অরবিন্দর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই কঠিন সময়ে আমাদের সমবেদনা তাঁর পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।' 

সুইসাইড নোটে অরবিন্দ অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে হেনস্থা করা হত। সেই অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছে কোম্পানি। তাদের তরফে জানানো হয়, অরবিন্দ সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ওলা ইলেকট্রিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চাকরি করার সময় তিনি কখনও কোনও হয়রানির অভিযোগ করেননি। 

POST A COMMENT
Advertisement