মুম্বইয়ের দহিসারে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড। দুপুর ৩ টের সময় আগুন লাগে ওই ২৪ তলায় বাড়িতে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ ও দমকলে খবর দেয়। এরপর ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনীর ৭ টি ইঞ্জিন আসে। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সেই বহুতলে আটকে থাকা আবাসিকদের উদ্ধার করা হয়।
ওই বহুতল থেকে ৩৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মুম্বই পুরনিগমের তরফে জানানো হয়, সন্ধে ৬ টা ১০ মিনিট নাগাদ তিন ঘণ্টায় চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় যারা ভর্তি ছিলেন তাঁদের মধ্যে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। একজন প্রতিবন্ধীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনও ৫ জনের চিকিৎসা চলছে। এদিকে নর্দার্ন কেয়ার হাসপাতালে ১০ জন ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে ৪ বছরের একটি শিশুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মুম্বইয়ের আরও ২ হাসপাতালে কয়েকজন ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে দহিসার পুলিশ সমস্ত হাসপাতাল থেকে আহতদের সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আগুন লাগার কারণ কী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সময়মতো আবাসিকদের উদ্ধারের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। না হলে অনেকের প্রাণহানি হতে পারত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে। আগুন দেখেই দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। দমকল বাহিনী এবং পুলিশ প্রশাসন তৎপরতা দেখিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ে আগুন লাগার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ২০২১ সালে মুম্বইতে ৪০৬৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছিল। সেই বছর ১৯ জন মারা যান ও এবং ১৭৩ জন আহত হয়েছিলেন। ২০২২ সালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও মৃতের সংখ্যা কমেছে। ৪৪১৭টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়। ১৩ জন প্রাণ হারান। ২০২৩ সালে মৃতের সংখ্যা বেশ বেশি ছিল। ৩৩ জন মারা যান, আহত প্রায় ৩০০।