আগামী ২২ জানুয়ারী অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। ভক্তরা অধীর আগ্রহে শ্রী রামের ঐশ্বরিক দর্শনের জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগেই রামলালার ছবি এল প্রকাশ্যে। যদিও এই ছবি রামলালাকে গর্ভগৃহে বসানোর আগের। ছবিতে শ্রী রামের মুখে মিষ্টি হাসি, কপালে তিলক এবং হাতে তির-ধনুক দেখা যাচ্ছে। রামস্তুতিতে রামলালার রূপের বর্ণনা দেওয়া গয়েছে। সেখানে দীর্ঘ বাহু, তির-ধনুক হাতে রঘুকুলপতির উল্লেখ রয়েছে।
রামলালার মূর্তিটি ৫১ ইঞ্চি লম্বা। রামলালার মূর্তির যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল, তখন সেটির চোখ কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। মহীশূরের ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের তৈরি রামলালার ৫১ ইঞ্চির মূর্তি বৃহস্পতিবার ভোরে মন্দিরে আনা হয়েছিল। অরুণ যোগীরাজ কর্ণাটকের বাসিন্দা। মহীশূরের বিখ্যাত ভাস্কর পাঁচ প্রজন্ম ধরে পাথর খোদাই করে মূর্তি বানানোর কাজ করছেন। অরুণ যোগীরাজ বর্তমানে দেশের সেরা ভাস্কর। তাঁর প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। অরুণের বাবা যোগীরাজও একজন দক্ষ ভাস্কর।
রামলালাকে গর্ভগৃহে মন্ত্র উচ্চারণ করে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। রাম মন্দিরের পুরোহিত অরুণ দীক্ষিত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি বসানো হয়েছিল। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্য শ্রী বিশ্বপ্রসন্ন তীর্থ জানিয়েছেন যে ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হবে। নিরাপত্তার কারণে উদ্বোধনের দিন শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' অনুষ্ঠানের পরের দিন মন্দির সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রামলালার উপবিষ্ট হয়েছে যেখানে সেই স্থানটি ৩.৪ ফুট উঁচুকে। যা মাকরানা পাথর দিয়ে তৈরি। বুধবার রাতে ক্রেনের সাহায্যে রামমন্দির চত্বরে রামলালার মূর্তি আনা হয়। বাংলা ডট আজতক ডট ইন-এ আগেই শ্যামবর্ণের মূর্তির কথা জানিয়েছিলেন রামমন্দিরের প্রধান আচার্য দুর্গাপ্রসাদ গৌতম। তিনি জানিয়েছিলেন, বিশেষ কারণে এই শ্যামবর্ণের মূর্তি বাছা হয়েছে। নেপাল থেকে যে শালগ্রাম শিলা আনা হয়েছিল, তা মূর্তি তৈরির কাজে লাগেনি।ওই শালগ্রাম শিলা মূর্তি তৈরির উপযুক্ত নয়। খোদাইয়ের সময় অতিরিক্ত পাথর ভেঙে যাচ্ছিল। সাদা পাথরের মূর্তি হলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হত। রাসায়নিক ব্যবহার হত।