শুক্রবার দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় হুমায়ুনের সমাধি কমপ্লেক্সের ভেতরে একটি অংশ ধসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্য়ে তিনজন মহিলা, দুজন পুরুষ। দরগা শরিফ পাট্টে শাহের ভিতরে একটি ঘরের ছাদ ও দেওয়ালের একটি অংশ হঠাৎ ভেঙে পড়ে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, কয়েকজন ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছেন। দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন যে বিকেল ৩টে ৫১ মিনিটে ঘটনার খবর আসে। এরপর দমকল বাহিনীর ৫টি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে। বর্তমানে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এই ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভটি ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত একটি সমাধি, যা পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হুমায়ুনের সমাধি কমপ্লেক্সটি ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে তৈরি হয়েছিল এবং সারা বছর ধরে এখানে প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।
অ্যাডভোকেট মুজিব আহমেদ বলেন, আজ জুম্মার নামাজের জন্য প্রচুর সংখ্যক মানুষ এখানে জড়ো হয়েছিল। কলোনির মানুষ এবং বাইরের লোকেরাও নামাজ পড়তে এসেছিলেন, কিন্তু আজ বৃষ্টির কারণে লোকেরা ভিতরে চলে গিয়েছিলেন। এই ছাদটি অনেক পুরনো ছিল। ASI-এর লোকেরা এটি মেরামত করতে দেয় না। অনেকবার দরগা কমিটি এই জন্য আবেদন জানিয়েছিল এবং বলেছিল যে ছাদ থেকে জল পড়ছে, এটি মেরামত করা হোক, কিন্তু ASI আবেদন মানেনি। তাদের অবহেলার কারণে ছাদে ফাটল ধরেছিল।
মুজিব আহমেদ আরও বলেন, আজ বৃষ্টির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন লোক ছিলেন। দুর্ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন। প্রথমে ছাদ ভেঙে পড়ে, তারপর দেওয়াল ভেঙে পড়ে। এখানে কিছু ঘর তৈরি করা হয়েছে। এখানেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।