ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই চাপেই কি জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার? এদিন আজ তকের সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের জবাব দেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, "মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের উপর ট্যারিফ চাপানোর জন্য জিএসটি সংস্কার করা হয়নি। দেড় বছর ধরে জিএসটি সংস্কারের কাজ চলছিল। একদিনে এসব করা সম্ভব নয়।"
অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, জুলাইয়ে মুদ্রাস্ফীতি সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে, তাহলে এখন জিএসটি কমানোর কী প্রয়োজন ছিল? এর উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, "সরকার সবসময় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। অনেক সময় সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এটি অর্থনীতির উত্থান-পতনের একটি সূচক।"
ট্রাম্পের ট্যারিফের কারণে জিএসটি সংস্কার?
তিনি আরও বলেন, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে জিএসটি সংস্কার আনা হয়েছে। কিন্তু এটি মোটেও তা নয়।
জিএসটি হার কমানোর প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, "জিএসটি হার কমানোর জন্য দেড় বছর ধরে কাজ চলছে। ১৮ মাস আগে মন্ত্রীগোষ্ঠী (GoM) তৈরি হয়েছিল। তখন কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী GoM-এর চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু কর্ণাটকে সরকার পরিবর্তন হয়। এর পরে, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই সবই ধারাবাহিকভাবে চলছে। আমরা ৩০০ টিরও বেশি জিনিসের উপর হার কমানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত একদিনে নেওয়া সম্ভব ছিল না।
'বারবার আলোচনা করেছিলাম'
তিনি বলেন, "গত এক বছরে, আমরা বারবার আলোচনা করেছিলাম যাতে কর আরও কমানো যেতে পারে। জনসাধারণের উপর বোঝা কমাতে আমরা প্রচর চেষ্টা করেছি। প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে সময় লাগে। অতএব, এটিকে ট্রাম্পের শুল্ক এবং মুদ্রাস্ফীতির হারের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে না।"
উল্লেখ্য, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ ৫৬তম জিএসটি কাউন্সিলের সভায় ঘোষিত জিএসটি সংস্কারগুলি সাধারণ মানুষকে স্বস্তির দিয়েছে। এই জিএসটি সংস্কারকে 'ন্যূনতম কর, সর্বোচ্চ সঞ্চয়' এবং 'গ্রেট সেভিংস ট্যাক্স' হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে, দেশে এখন জিএসটির মাত্র দুটি হার থাকবে (৫%, ১৮%)।
এই হার কমানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, নবরাত্রি থেকে কোটি কোটি পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সস্তা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, জিএসটি সংস্কার কেবল ভারতীয়দের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে না বরং ভোগ ও উন্নয়নও বাড়াবে। জনগণের অর্থ সাশ্রয় করবে।