চাকরির আকাল। মাত্র ১৮০০ জন লোককে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। আর তার জন্য ইন্টারভিউ দিতে এলেন ১৫ হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থী। জায়গার অভাব ও অপ্রত্যাশিতভাবে এত লোক আসার ফলে সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। একসময় তো পদপিষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়। বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে ঘোষণা করা হয়, সিভি জমা দিয়ে চলে যেতে। পরে যোগ্য প্রার্থীদের ডেকে নেওয়া হবে। যদিও ইউনিয়নের দাবি, ৫০ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী এসেছিলেন।
ঘটনাস্থল মুম্বইয়ের কলিনা। বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণ স্টাফ, পিওন ইত্যাদির জন্য ১৮০০ ভ্যাকান্সির কথা জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল এয়ারপোর্ট সার্ভিস লিমিটেড। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বুঝতেও পারেনি এমন কম বেতনের চাকরির জন্য এত সংখ্যক মানুষ ইন্টারভিউতে আসবেন। আর তাতেই বিপত্তি।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ইন্টারভিউ দিতে ১৫ হাজার প্রার্থীর আসার কথা বলা হলেও সংখ্যাটা ৫০ হাজারের মতো। অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি এমপ্লয়িজ গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক জর্জ আব্রাম বলেছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য যে ব্যবস্থা করা উচিত ছিল, তা হয়নি। সেজন্য প্রায় ৫০ হাজার চাকরিপ্রার্থী এসেছিলেন।
জর্জ আব্রামের কথায়, 'আমার কাছে খবর আছে ৫০ হাজার চাকরিপ্রার্থী এসেছিলেন। এই রকম অবস্থা যে হতে পারে তা আগাম আন্দাজ করেছিলাম। সেজন্য সতর্ক করা হয়েছিল। তবে আগাম ব্যবস্থা নেয়নি। সেই কারণে এমন পরিণতি। প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন ছিল। বাধ্য হয়ে পুলিশ এসে হস্তক্ষেপ করে। মাত্র ১৭৮৬ জন হ্যান্ডম্যান এবং ১৬ জন ইউটিলিটি এজেন্টের শূন্যপ রয়েছে।'
যে চাকরির জন্য এত লোক জমায়েত করেছিলে, সেই চাকরির যোগ্যতা ছিল ক্লাস টেন পাশ। বয়স হতে হবে ২৩। বেতন ২২, ৫৩০ টাকা। ৩ বছরের চুক্তিতে প্রার্থী নেওয়ার কথা।
এদিকে ইউনিয়নের তরফে ১৫ হাজার চাকরি প্রার্থীর কথা বলেও এয়ারপোর্ট লিমিটেড জানিয়েছে সংখ্যাটা ১৫ হাজার। যদিও পুলিশের তরফে কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি।