বাংলাদেশে ভোট ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে। জানিয়েছেন সেই দেশের অন্তর্বতীকালীন প্রধান মহম্মদ ইউনূস। ভারতও সেই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে, তা কার্যত স্পষ্ট দিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সোমবার তিনি জানান, বাংলাদেশের নির্বাচন যাতে সময়ে অনুষ্ঠিত হয়, সেটাই চাইবে ভারত।
মিস্রি এদিন বলেন, 'ভারত বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই দেশে নির্বাচন হওয়া উচিত। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ নিজেই নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। সেটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো। আমরা আশা করব কোনও বিলম্ব ছাড়া ভোট উৎসব অনুষ্ঠিত হোক।'
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মহম্মদ ইউনূস দাবি করে বসেন, বাংলাদেশের অনেকেই চান অন্তর্বতী সরকার যেন ক্ষমতায় থাকে। যেহেতু অন্তর্বতী সরকারকে কেউ নিয়োগ করেনি তাই তাঁদের মেয়াদ কতদিন সেটা নিজেরাই ঠিক করবেন। তিনি বলেছিলেন, 'এমন মানুষও আছে, যারা বলছে ৫ বছর থাকুন, ১০ বছর থাকুন, ৫০ বছর থাকুন। সুতরাং মানুষ সব ধরনের কথা বলছে। আপনি থাকুন, নির্বাচন কেন? কার নির্বাচন দরকার।' ইউনূসের এই মন্তব্য সামনে আসার পরই নতুন করে বিতর্ক মাথা চাড়া দেয়। তাহলে কি নোবেলজয়ী ওই অর্থনীতিবিদ সময়ে নির্বাচন চাইছেন না? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিল, তারা বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায়।
তবে মিস্রি এও জানান, বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা যে সরকার নির্বাচিত হবে তাদের সঙ্গে কাজ করতে ভারত বদ্ধপরিকর। বলেন, 'আমরা এই নির্বাচনের পরে যে সরকার আসবে তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। সেজন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আসা করি, এমন কোনও সরকার আসবে যারা ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত হবে।'
বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে ভারতের মতো বিশ্বের অন্য দেশেরও যে নজর রয়েছে তাও কথাবার্তায় বুঝিয়ে দেন বিক্রম মিস্রি। বলেন, 'কেবল ভারত নয়, বিশ্বের অন্য দেশও বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে। যদি ইতিহাসের দিকে তাকানো যায় তাহলে বোঝা যাবে বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।'