দুর্ঘটনাঘন কুয়াশার মোড়া চারপাশ। দৃশ্যমানতা একবারে কম। আর তার জেরেই উত্তরপ্রদেশের দিল্লি–আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার ভোরে ৮টি বাস ও ৩টি গাড়ির সংঘর্ষ। যার যেরে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গাড়িগুলি। তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। আহতের সংখ্যা ২৫ জনেরও বেশি।
কী জানা গিয়েছে?
এই দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ শ্লোক কুমার। তিনি জানান, দুর্ঘটনাটি যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে ঘটেছে। এটি আগ্রা থেকে নয়ডা দিকে যাওয়া লেনে ঘটেছে।
তিনি আরও জানান, ঘন কুয়াশার ফলে দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম ছিল। এর ফলে একের পর এক গাড়ির মধ্যে ধাক্কা লেগে যায়। সংঘর্ষের পরেই দাউ দাউ লেগে যায় আগুন। কিছু করার কোনও সুযোগই ছিল না চালকদের কাছে।
আগুনে পুড়ে যায় যানবাহন
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার তীব্রতা খুব বেশি ছিল। যার ফলে সঙ্গে সঙ্গেই সব যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
আর আগুন ধরার কারণে অনেক যাত্রী ভেতরে আটকে পড়েন। যার ফলে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরই ঘটনাস্থলে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি গাড়ি থেকে অন্য গাড়িতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় যাত্রীরা প্রাণ বাঁচাতে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। চারদিক থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার ভেসে আসে।
উদ্ধার অভিযান চলছে
এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত পৌঁছয় দমকল বাহিনী। এছাড়া পুলিশ ও অ্যাম্বুল্যান্সেও চলে আসে সময়ের মধ্যেই।
সেখানে উপস্থিত দমকলকর্মীরা গাড়িগুলি থেকে বেরনো আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি উদ্ধারকারী দল আহতদের বের করে আনে। সেখান থেকে তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রায় ২৫ জনকে মথুরা ও পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই খবর।
যান চলাচল আপাতত ব্যাহত
এই দুর্ঘটনার জেরে এক্সপ্রেসওয়ের ওই অংশে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন সেখানে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ চলছে। পাশাপাশি সরকার এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে।
উত্তরপ্রদেশজুড়ে ঘন কুয়াশা
উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকায় ঘন কুয়াশা ও ধোঁয়াশা ছেয়ে গিয়েছে। বহু শহরে দৃশ্যমানতা খুবই কমে গিয়েছে।
এমনকী আগ্রায় ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক ঘণ্টা তাজমহল দেখা যায়নি বলে খবর। এছাড়া বারাণসী, প্রয়াগরাজ, মইনপুরী ও মোরাদাবাদেও একই ধরনের পরিস্থিতি ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এই সব জায়গায় দৃশ্যমানতা ছিল কম। যার ফলে যানবাহন ধীর গতিতে চলতে বাধ্য হয়।