১০ দিনের লড়াই শেষ হল। বাঁচানো গেল না তিন বছরের চেতনাকে। গভীর কুয়ো থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাট-হোল খননকারী দল। তারপর তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর বাড়ির কাছে খেলতে গিয়ে ৭০০ ফুট গভীর কুয়োতে পড়ে যায় একরত্তি। সেদিন রাত থেকেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে যায়। এসডিআরএফ, এনডিআরএফ জোরকদমে কাজ শুরু করে। বুধবার বিকেলে চেনতাকে সেই গভীর কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে বাঁচানো গেল না তাকে।
২৩ ডিসেম্বর: সোমবার বেলা দেড়টার দিকে খেলতে গিয়ে কুয়োতে পড়ে যায় চেতনা।
২৪ ডিসেম্বর: মেয়েটিকে ১৫০ ফুট গভীর গর্তের প্রায় ৩০ ফুট উপরে টেনে আনতে সক্ষম হয় উদ্ধারকারী দল। কিন্তু তারপর চেতনা সেখানে আটকে যায়।
২৫ ডিসেম্বর: পাইলিং মেশিন দিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করার আগে জেসিবির সাহায্যে খননের কাজ শুরু হয়। সেই গর্তে ক্রমাগত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছিল। তবে চেতনা কোন অবস্থায় আছে তা দেখা যাচ্ছিল না ক্যামেরায়। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছিল পরিবারের সদস্যদের।
ডিসেম্বর ২৬: উত্তরাখণ্ড থেকে একটি বিশেষ এসে তারা পাইলিং মেশিনে খনন কাজ শুরু করে। তবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
ডিসেম্বর ২৭: চেতনাকে দ্রুত উদ্ধারের জন্য র্যাট-হোল খননকারী দলকে কাজে লাগানো হয়।
ডিসেম্বর ২৮: কুয়োর পাশে একটি ১৭০ ফুট গভীর গর্ত খনন করা হয়। এনডিআরএফ নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে ৯০ ডিগ্রিতে প্রায় ১০ ফুট গভীর একটি টানেল তৈরি করতে নামে।
ডিসেম্বর ২৯: ১৭০ ফুট খনন করে এল শেপের গর্ত খনন করা হয়।
৩০ ডিসেম্বর: সুড়ঙ্গ খনন সম্পন্ন হলেও সেখান থেকে অজানা গ্যাস বের হতে শুরু করে। ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়েছিল। এই অবস্থায় উদ্ধারকারী দল মেয়েটির কাছে পৌঁছতে পারেনি।
৩১ ডিসেম্বর: টানেল খনন করা সত্ত্বেও, কুয়ো খুঁজে পাওয়া যায়নি। আরও ৪ ফুট খনন করা হয়ষ।
১ জানুয়ারি: অবশেষে চেতনাকে বোরওয়েল থেকে বের করা হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।