COVID-19 কেস বাড়ছে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র। সম্প্রতি ভারতে JN.1 ভ্যারিয়েন্টের প্রথম কেস ধরা পড়েছে। আর তারপর রাজ্যগুলিকে COVID পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারির সুপারিশ করল কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে নিয়মিত জেলাভিত্তিক SARI এবং ILI কেসের রিপোর্টে নজর রাখতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাবধানতার খাতিরে রাজ্যগুলিকে বেশি বেশি করে RT-PCR টেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পজিটিভ নমুনা এলে INSACOG ল্যাবে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য স্যাম্পেল পাঠাতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) চলতি বছরের মে মাসে, কোভিড-১৯ এর সংখ্যা হ্রাসের কারণে 'PHEIC' স্ট্যাটাস প্রত্যাহার করেছে। ভারতেও কোভিডের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু কোভিড-১৯ -এর ফের সংখ্যা বাড়ায় নজরদারির সুপারিশ করা হয়েছে।
Centre issues advisory to States in view of a recent upsurge in COVID-19 cases and detection of first case of JN.1 variant in India. States urged to maintain a state of constant vigil over the COVID situation. States to report & monitor district-wise SARI and ILI cases on a… pic.twitter.com/NpS1wAQLM8
— ANI (@ANI) December 18, 2023
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সম্প্রতি কেরলের মতো কয়েকটি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড-এর কেসের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে ভাইরাসের কোনও নতুন ভেরিয়েন্ট ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কোভিড কেসের বৃদ্ধির কারণে আরও নজরদারির সুপারিশ করেছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে এই বিষয়ে সতর্ক হতে বলা হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, আসন্ন উৎসবের মরসুমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি কমানোর জন্য় সচেতনতার প্রসারের ব্যবস্থা করতে হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোভিড বৃদ্ধির হার-এ নজর রাখার জন্য ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম (IHIP) পোর্টাল সহ নিয়মিতভাবে সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জেলা-ভিত্তিক ইনফ্লুয়েঞ্জা-জাতীয় অসুস্থতা (ILI) এবং গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার (SARI) বিষয়ে নজরদারি করার সুপারিশ করেছে।
একইভাবে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে নিয়মিত RT-PCR এবং অ্যান্টিজেন টেস্টের সুপারিশ করেছে।