ইন্দিরা জমানায় দেশে এমার্জেন্সি বা জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন জারি করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা। এবার থেকে ২৫ জুনকে 'সংবিধান হত্যা দিবস' হিসাবে ঘোষণা করল মোদী সরকার। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এক্স হ্যান্ডলে শাহ লিখেছেন, '১৯৭৫ সালের ২৫ জুন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়েছিলেন। দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে ভারতের গণতন্ত্রের আত্মার টুঁটি চেপে ধরেছিলেন। কোনও কারণ ছাড়াই লক্ষ লক্ষ মানুষকে জেলে যেতে হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতি বছর ২৫ জুন সংবিধান হত্যা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। এই দিনটি মনে করাবে সেই সমস্ত মানুষের অবদানের কথা, যাঁরা জরুরি অবস্থার সময় অমানবিক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন।'
To observe 25th June as #SamvidhaanHatyaDiwas will serve as a reminder of what happens when the Constitution of India was trampled over. It is also a day to pay homage to each and every person who suffered due to the excesses of the Emergency, a Congress unleashed dark phase of… https://t.co/om14K8BiTz
— Narendra Modi (@narendramodi) July 12, 2024Advertisement
অন্য দিকে, সম্প্রতি সংসদের অধিবেশনে সংবিধান নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন মোদী। সংবিধানের কপি হাতে নিয়ে দেখা গিয়েছে রাহুল-সহ বিরোধী সাংসদদের একাংশকে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় বক্তৃতায় মোদী বলেছিলেন, 'সংবিধানের পুস্তিকা হাতে নিয়ে লাফালাফি করছে বিরোধীরা। আমি যখন ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস চালু করার কথা বলেছিলাম, তখন এই বিরোধীরাই আপত্তি তুলেছিলেন। বলেছিলেন যে, ২৬ জানুয়ারি তো আছে। আবার সংবিধান দিবসের দরকার কী!' সংবিধান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, 'সংবিধান আমাদের কাছে কোনও অনুচ্ছেদের সমষ্টি নয়। সংবিধানের প্রতিটি শব্দ আমাদের কাছে মূল্যবান। নীতি নির্ধারণে যে কোনও সরকারের পথনির্দেশিকা এটি। যে কোনও পরিস্থিতিতে সংবিধান আমাদের দিকনির্গেশ করে।' বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার দেশের সংবিধানকে ধ্বংস করছে। তার প্রতিবাদে প্রায়শই সরব হন বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা।