Greater Noida Dowry Death: 'স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন ঝামেলা হয়েই থাকে,' বউকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে বলছে অভিযুক্ত বিপিন

গ্রেটার নয়ডায় শিশুপুত্রের চোখের সামনে স্ত্রীকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘিরে তোলপাড় দেশ। অভিযুক্ত স্বামী বিপিন ভাটের অবশ্য অকপট দাবি, এমন ঝামেলা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হয়েই থাকে। পাশাপাশি তার আরও দাবি, স্ত্রীকে সে খুন করেনি। স্ত্রী নিজেই মারা গিয়েছে।

Advertisement
 'স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন ঝামেলা হয়েই থাকে,' বউকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে বলছে অভিযুক্ত বিপিনঅভিযুক্ত বিপিন, মৃত স্ত্রী নিক্কি
হাইলাইটস
  • স্ত্রীকে জ্যান্ত জ্বালানোয় অভিযুক্ত বিপিনের কোনও অনুশোচনা নেই
  • স্ত্রীকে সে খুন করেনি বলে দাবি
  • এমন ঝামেলা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হয়েই থাকে বলেও মন্তব্য


পণের জন্য স্ত্রীকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৬ বছরের শিশুপুত্রের সামনেই স্ত্রীর গায়ে তেল ঢেলে লাইটার দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার সেই হাড়হিম দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অথচ নারকীয় অত্যাচারে অভিযুক্ত সেই বিপিন ভাট নির্বিকার। তার কথায়, 'স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন ঝামেলা স্বাভাবিক।'

এখানেই শেষ নয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করা এই বিপিন এনকাউন্টারে পায়ে গুলি খাবার পর সপাটে বলে, 'বউকে আমি মারিনি। ও নিজেই মরে গিয়েছে।' 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ধৃত বিপিন যেভাবে স্পষ্ট জবাব দিচ্ছে, তা শুনে শিউরে উঠছেন সকলে। বিপিনের সাফ বক্তব্য, 'আমার কোনও অনুশোচনা নেই। আমি ওকে খুন করিনি। ও নিজেই মরে গিয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তো এমন ঝামেলা হতেই থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক।'

এনকাউন্টারে পায়ে গুলি লাগার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই নির্বিকার ভাবে তার বক্তব্য, 'এমনটা হয়েই থাকে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন ঝামেলা স্বাভাবিক।'

২০১৬ সালে বিয়ে হয়েছিল নিক্কি ও বিপিনের। ২৮ বছরের নিক্কি গত বৃহস্পতিবার গায়ে আগুন লাগা অবস্থাতে আর্তনাদ করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে এসেছিলেন। তাঁকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তবে সে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.n. নিক্কির ৬ বছরের শিশুপুত্র গোটা ঘটনা নিজে চোখে দেখেছে বলে জানিয়েছে। নিক্কির পরিবারের দাবি, বিপিন ও তার পরিবার ৩৬ লক্ষ টাকা বরপণ চেয়েছিল। আর সেই দাবিতেই অত্যাচার করা হতো নিকিকে এবং তাঁকে পুড়িয়ে মারা হয়। জামাইয়ের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য যোগী প্রশাসনের কাছে আবেদন জানালেন শ্বশুর। এনকাউন্টার করার দাবিও তুলেছেন মৃতার বাবা। নিক্কির বাবা সম্প্রতি একটি মার্সিডিজ কিনেছিলেন। শ্বশুরের সেই গাড়ির দিকেও নজর ছিল বিপিনের, প্রাথমিক তদন্তের পরে জানতে পেরেছে পুলিশ। 
 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement