Noida Incident: 'বাবা লাইটার জ্বালিয়ে মায়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিল,' নয়ডায় গৃহবধূর উপর নারকীয় অত্যাচরের বর্ণনা একরত্তির

গায়ে তেল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হল লাইটার! দাউ দাউ করে জ্বলছেন গৃহবধূ! নারকীয় ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গ্রেটার নয়ডার ঘটনায় শিউরে উঠছে সকলে।

Advertisement
'বাবা লাইটার জ্বালিয়ে মায়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিল,' নারকীয় অত্যাচরের বর্ণনা একরত্তিরনয়ডায়গৃহবধূর উপর নারকীয় অত্যাচার
হাইলাইটস
  • গায়ে আগুন দিয়ে গৃহবধূকে নৃশংস ভাবে হত্যার অভিযোগ
  • ঘটনার ভয়ঙ্কর ভিডিও ভাইরাল
  • নারকীয় অত্যাচারের বর্ণনা একরত্তির

'বাবা আর ঠাকুমা মায়ের গায়ে কিছু একটা তেল ঢেলে দিল। জোরে জোরে থাপ্পড় মারল মা-কে। তারপর মায়ের গায়ে লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিল।' ৬ বছরের শিশুপুত্রের এই বর্ণনা শুনে শিউরে উঠছে গোটা দেশ।

ঘটনাটি গ্রেটার নয়ডার। বাবা ও ঠাকুমার হাতে মা-এর উপর এই নারকীয় অত্যাচারের ঘটনা বর্ণনা করেছে একরত্তি। নিজে চোখে মাকে জ্যান্ত পুড়তে দেখেছে সে। 'তোমার বাবা কি মাকে মেরে ফেলেছে?' স্তম্ভিত হয়ে পড়া শিশুটি কেবল মাথা নেড়ে সম্মতিসূচক হ্যাঁ বলে। 

ঘটনার ২টি হাড়হিম করা ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ইন্টারনেটে হু হু করে শেয়ার হচ্ছে সেগুলি। একটিতে দেখা যাচ্ছে, নির্যাতিতাকে শারীরিক নিগ্রহ করছে এক ব্যক্তি ও এক প্রবীণ মহিলা। তাঁর চুলের মুঠি ধরে হিড়হিড় করে টানা হচ্ছে। অপর ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, জ্বলন্ত অবস্থায় সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছেন ওই নির্যাতিতা। যদিও এই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in.

জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার নাম নিক্কি। বছর ৬ আগে বিপিন ভাটির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। নিক্কির শ্বশুরবাড়িতেই বিয়ে হয়েছে তাঁর বড় বোন কাঞ্চনের। গোটা ঘটনার ভিডিও তিনিই ক্যামেরাবন্দি করেছেন বলে খবর। গ্রেটার নয়ডার কাসনা থানা এলাকার সিরসা গ্রামের এই নৃশংস ঘটনার তদন্তে নেমে একের পর এক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, পণ ও যৌতুকের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চলছিল ওই তরুণীর উপরে। বৃহস্পতিবার অত্যাচার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে যায়। 

সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলেছেন কাঞ্চনও। তিনি দাবি করেন, 'ঘটনা ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে। নিক্কির স্বামী বিপিনই ওকে খুন করেছে। ৩৬ লক্ষ টাকা পণ চেয়েছিল ওরা। তা না পেয়ে এমন অত্যাচার করে মেরে ফেলল নিক্কিকে।'

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল নিক্কিকে। ৩৬ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। তাঁদের তরফে যদিও আগেই একটি গাড়ি দেওয়া হয়েছে। তবে দাবি কমেনি বিপিনদের। 

Advertisement

নৃশংসার বর্ণনা দিয়ে কাঞ্চন বলেন, 'গলায় টিপে ধরে ওর। তারপর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারে। আমাদের বাচ্চারা তখন বাড়িতেই ছিল। আমি ওকে কিছুতেই বাঁচাতে পারলাম না। আমার উপরও অকথ্য অত্যাচার হয়েছে। আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম।'

গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় নিক্কিকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পরে তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। কাঞ্চনের অভিযোগের ভিত্তিতে নিক্কির স্বামী, শাশুড়ি, শ্বশুর এবং ভাষুর সহ পরিবারের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (গ্রেটার নয়ডা) সুধীর কুমার বলেন, ‘মৃতার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর স্বামী বিপিন ভাটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।’

 

POST A COMMENT
Advertisement