scorecardresearch
 

গ্রিন টিতে দেশের সেরা দার্জিলিংয়ের বাদামতাম এর চা পাতা

অসমের চুবুয়া চা বাগানকে পিছনে ফেলে অর্থোডক্স ও গ্রিন টি ক্যাটেগরিতে সেরার তকমা ছিনিয়ে নিল দার্জিলিংয়ের বাদামতাম চা বাগান। সেরার তালিকায় দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানটিও দার্জিলিংয়েরই অম্বোটিয়া চা বাগানের ঝোলাতে গিয়েছে।

Advertisement
বাদামতাম চা বাগানের কারখানা বাদামতাম চা বাগানের কারখানা
হাইলাইটস
  • গ্রিন টিতে সেরা বাদামতাম চা বাগান
  • তৃতীয় সেরা দার্জিলিংয়েরই অম্বোটিয়া
  • সিটিসিতে তৃতীয় জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড়

ফের সেরার সেরা চা পাতার আঁতুরঘর বাদামতাম

অসমের চুবুয়া চা বাগানকে পিছনে ফেলে অর্থোডক্স ও গ্রিন টি ক্যাটেগরিতে সেরার তকমা ছিনিয়ে নিল দার্জিলিংয়ের বাদামতাম চা বাগান। সেরার তালিকায় দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানটিও দার্জিলিংয়েরই অম্বোটিয়া চা বাগানের ঝোলাতে গিয়েছে।

২৭ হাজার ৫৬০ টাকায় সেরা বাদামতাম

আন্তর্জাতিক চা দিবস উপলক্ষে টি বোর্ডের তরফে দেশের সমস্ত চা বাগানগুলিকে তাদের সর্বোচ্চ মানের চা নিয়ে নিলামে অংশ নেওয়ার আহবান জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে থেকেই প্রতিযোগিতায় সবাইকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করেছে বাদামতাম। নিলামে বাদামতামের প্রতি কেজি পাতার দাম উঠেছে ২৭ হাজার ৫৬০ টাকা।

চুবুয়া অনেকটাই পিছিয়ে নিলামে

যেখানে অসময়ের চুবুয়া চা বাগান এর চা পাতা নিলামে সর্বোচ্চ দর পেয়েছে ২০ হাজার ১০ টাকা। দামের তারতম্যেই পরিষ্কার, দ্বিতীয় স্থানে থাকা চা পাতার চেয়ে গ্রাহকদের কতটা বেশি প্রভাবিত করতে পেরেছে ওই চা পাতা।

তৃতীয় দার্জিলিংয়েরই অম্বোটিয়া

অন্যদিকে তৃতীয় স্থানেও দার্জিলিংয়ের আরও একটি চা বাগান উঠে এসেছে। নিলামের দরে তৃতীয় স্থান পেয়েছে দার্জিলিংয়ের অম্বোটিয়া চা বাগান। তাদের প্রতি কেজি সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ১৮ হাজার ৪১ টাকা। এ ছাড়া সেরা দশের তালিকায় থাকা চা বাগানগুলির তালিকায় রয়েছে দার্জিলিংয়ের স্প্রিংসাইড। অসমের আভাতা এন্টারপ্রাইজ, অসমের হারমাটি চা বাগান, ডুয়ার্সের মিনগ্লাস,  দার্জিলিংয়ের সাংমা ও টরজম। অসমের বিমলাপুর, নোনাইপাড়া বাগান। ডুয়ার্সের মিনগ্লাস চা বাগানের অর্থোডক্স চা বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার ১০ টাকা প্রতি কেজি দরে। 

কি কি দেখা হয়েছে চায়ের নিলামে

মূলত চায়ের সুগন্ধ, চায়ের স্বাদ, চায়ের গুণগত মান, চায়ের সংরক্ষণের পদ্ধতি সব মিলিয়ে এই নিলামে বিচার করা হয়।

সিটিসি ক্যাটেগরিতে সেরা অসম, রয়েছে ডুয়ার্সও 

Advertisement

অন্যদিকে সিটিসি ক্যাটাগরিতে সেরা তিনে স্থান পেয়েছে ডুয়ার্স এর একটি চা বাগান। প্রথম অসমের আইদেওবাড়ি ও দ্বিতীয় আমগুড়ি। তৃতীয় জলপাইগুড়ি ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান। এর মধ্যে প্রথম বাগানটির তৈরি পাতা বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ৫১০ টাকা, অন্যদিকে আমগুড়ির সিটিসি চা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫১০ টাকায়, ডেঙ্গুয়াঝাড়ের সিটিসি চা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৭১০ টাকায়।

চা বাগানগুলিতে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা

টি বোর্ডের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চা উদ্যোক্তারা। তাঁদের মতে এই ধরনের সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক প্রতিযোগিতা থাকলে চা-বাগানের প্রতি যেমন মালিকদের মনোযোগ বাড়বে, তেমনই নিজের চা পাতাকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড করে তুলে ধরতে আরও বেশি করে উৎসাহ তৈরি হবে। তাতে সার্বিকভাবে চা শিল্পের উন্নতি। মালিকদের সংগঠন এবং কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স এর তরফে একযোগে সাধুবাদ জানানো হয়েছে উদ্যোগকে। গ্রিন টি এমনিতেই দাম বেশি পায়। তবে সিটিসির ক্ষেত্রে এক হাজারের উপরে প্রতি কেজি ছাড়িয়ে যাওয়া অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। যার ফলে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়া চা শিল্প চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে তারা আশা করছেন। লকডাউনে চা শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যেও গুণগত মান ধরে রেখে সেরা চা উৎপাদন করতে পারায় সন্তুষ্টি ছড়িয়ে পড়েছে বিজয়ী চা-বাগান গুলির শ্রমিক-মালিক কর্মীদের মধ্যে।

 

Advertisement