Greta Thunberg: গ্রেটা থুনবার্গের গায়ে চড়ানো হল ইজরাজেলের পতাকা, খেতে হয় বাথরুমের জলও; হইচই

গ্রেটা থুনবার্গকে চরম নিগ্রহের অভিযোগ ইজরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাঁর চুলের মুঠি ধরে হিঁচড়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, জোর করে তাঁর গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয় ইজরায়েলের পতাকা। চুমু খেতে বাধ্য করা হয় সেই পতাকায়।

Advertisement
গ্রেটা থুনবার্গের গায়ে চড়ানো হল ইজরাজেলের পতাকা, খেতে হয় বাথরুমের জলও; হইচইগ্রেটা থুনবার্গ, নিগ্রহের চিত্র (ইনসেটে)
হাইলাইটস
  • গ্রেটা থুনবার্গকে নিগ্রহের অভিযোগ ইজরায়েল বাহিনীর বিরুদ্ধে
  • গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয় ইজরায়েলের পতাকা
  • বাথরুমের জল খেয়ে থাকতে হয়

সুইডিশ জলবায়ু রক্ষাকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ইজরায়েলি বাহিনীর হাতে নিগৃহীত। এমনটাই দাবি করেছেন তাঁর সহকর্মীরা। ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গাজায় যাওয়ার পথে চলতি সপ্তাহের শুরুতে মাঝ সমুদ্রে আটকে দেওয়া হয়েছিল গ্রেটাদের জাহাজ। ইজরায়েলি সেনা এরপর বন্দি করে রাখে গ্রেটাদের, অভিযোগ এমনটাই। বন্দিদশায় তাঁদের উপরে নানা ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। 

বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ইস্তানবুলে পৌঁছে হাজওয়ানি হেলমি এবং ওইন্ডফিল্ড বেভার নামে গ্রেটার দুই সহকর্মী বলেন, 'গ্রেটাকে জোর করে ইজরায়েলের পতাকা গায়ে জড়াতে বাধ্য করা হয়। তারা আমাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করেছে।' তাঁদের আরও দাবি, গ্রেটার চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ইজরায়েলের পতাকায় চুমু খেতেও বাধ্য করা হয়। ইজরায়েল গ্রেটাকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করতে চেয়েছিল বলেও দাবি করেন ওই সমাজকর্মীরা। 
  
প্যালেস্তাইনের গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩৭ জনকে শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জন তুরস্কের নাগরিক। অন্যরা আমেরিকা, ইতালি, মালয়শিয়া, কুয়েত, সুইজারল্যান্ড, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, জর্ডান সহ বিভিন্ন দেশের সমাজকর্মী বলে জানান তুরস্কের কর্মকর্তারা। বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে গতকাল ইস্তাম্বুলে ফেরেন তুরস্কের সাংবাদিক এরসিন সেলিকও। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশ নেওয়া এরসিন সেলিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনিও দেখেছেন, ইজরায়েলি বাহিনী গ্রেটা থুনবার্গকে নির্যাতন করেছে। মাটির উপর দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছে তাঁকে এবং ইজরায়েলি পতাকায় চুমু খেতে বাধ্য করেছে। গ্রেটা থুনবার্গকে ধাক্কা দিয়ে তাঁর গায়ে জোর করে ইজরায়েলি পতাকা মুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও দাবি।

এদিকে, আটক করার পর সমাজকর্মীদের খাবার, পানীয় জল কিংবা ওষুধ দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। ৩ দিন অভুক্ত রাখা হয় গ্রেটাদের। প্রবল গরমে সর্বক্ষণ রেখে দেওয়া হয়। দুর্ব্যবহারের কথা জানান আটক হওয়ার পর ফিরে আসা তুরস্কের টেলিভিশন উপস্থাপক ইকবাল গুরপিনারও। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কুকুরের মতো আচরণ করা হয়েছে। ৩ দিন ধরে আমাদের খাবার দেওয়া হয়নি। জল দেওয়া হয়নি। টয়লেটে থাকা জল খেতে হয়েছে। ভীষণ গরম ছিল। আমরা রীতিমতো ঝলসে গিয়েছি। গাজাবাসীর সঙ্গে আসলে কী ঘটছে, এ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি।’

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement