বর্ষায় বিধ্বস্ত উত্তর এবং পশ্চিম ভারত। গুজরাতেও একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। দেখা দিয়েছে হড়পা বানও। আহমেদাবাদ ও জুনাগড়-সহ গুজরাটের অনেক জেলায় বৃষ্টির কারণে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আহমেদাবাদ-জুনাগড়ে বৃষ্টি থামার কারণে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এবং মানুষ জলাবদ্ধতা থেকেও মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু রাস্তায় বন্যার কারণে জনজীবন বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে।
বাড়ির বাইরে পার্ক করা গাড়িগুলো জলের স্রোতে একে অপরের ওপরে উঠে গেছে। জল জমেছে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরেও। এই বিষয়ে, আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের কাছে যাত্রা শুরু করার আগে তাদের নিজ নিজ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফ্লাইট চেক করার জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদের পার্কিং এড়াতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর টুইট করেছে, "এসভিপিআইএ এবং বিমানবন্দরের টার্মিনাল অপারেশনগুলিতে সমস্ত ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত এবং বিমানবন্দরের চারপাশে জলাবদ্ধতার কারণে, আমরা সমস্ত যাত্রীদের তাদের যাত্রা শুরু করার আগে তাদের নিজ নিজ এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করার এবং ফ্লাইটের অবস্থা চেক করার জন্য অনুরোধ করছি। যাত্রীদেরকেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে তারা আমাদের বিমানবন্দরে পার্কিং এড়ান।"
এর পাশাপাশি আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালও প্লাবিত হয়েছে, যার ভিডিওও সামনে এসেছে। শনিবার রাতে সিভিল হাসপাতালের ট্রমা ওয়ার্ডে জল ঢুকলেও এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এখন জুনাগড়ের পরিস্থিতি এমন হয়ে গিয়েছে যে, এসপিকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার আবেদন করতে হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে পুরো শহর প্লাবিত হয়েছে। ১৯৮৩ সালের পর প্রথমবারের মতো এখানে এত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। জলের স্রোত এতটাই প্রবল ছিল যে তাতে বহু যানবাহন ডুবে যায়। শুধু তাই নয়, লিফট ও সিঁড়ি থেকেও জল আসতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে নভসারি ও ভিজলপুর শহরের বেশ কিছু এলাকা। সব রাস্তায় জল জমে আছে। জুনাথানা এলাকায় গ্যাস এজেন্সির গোডাউনের গেট জলের তোড়ে খুলে যায়। গ্যাস সিলিন্ডারগুলো জলে ভেসে যায়। সেই ভিডিওটিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আমরেলিতে বন্যার মতো পরিস্থিতি গুজরাটের আমরেলি শহরেও একই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণের বাইরে মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে ভূমিধসের কারণে দুর্ঘটনার একটি ভয়াবহ চিত্র সামনে এসেছে। এখানে পুরো গ্রাম ধ্বংসস্তূপের কবলে পড়ে, যাতে ২৫ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। মুম্বইতেও, বৃষ্টি এখানকার মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। পাশাপাশি মুম্বাইয়ের অনেক এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।