
কালবৈশাখীতে কাবু রাজধানী শহর। প্রবল বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় লন্ডভন্ড দিল্লি। জলমগ্ন অর্ধেক এলাকা। ব্যাহত উড়ান পরিষেবা। জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। ঠিক দিল্লির মতোই তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বাংলাতেও। নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে সপ্তাহজুড়ে তীব্র ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভাসবে কলকাতাও। নামবে তাপমাত্রা।
দিল্লির বেহাল দশা
শনিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি সঙ্গে ৪০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত দিল্লি। রবিবার সকালেও কমেনি দুর্যোগ। চলছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। বর্ষণে রাস্তাঘাট প্লাবিত। তার জেরে যান চলাচলেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে গিয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে একশোরও বেশি বিমান ওঠানামায় দেরি হয়েছে। ঝড়ের কারণে ২৫টি বিমানের পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদেরও ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। যদিও এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, তার জন্য অ্যাডভাইজ়রি জারি করা হয়েছে দিল্লি বিমানবন্দরের তরফে।
রবিবার ভোর পর্যন্ত সফদরজঙে বৃষ্টি হয়েছে ৮১ মিলিমিটার, পালমে ৬৮ মিলিমিটার, পুসায় ৭১ মিলিমিটার, ময়ূর বিহারে ৪৮ মিলিমিটার। শহরের অন্যত্র ৫০-৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দিল্লির মোতিবাগ, মিন্টো রোড, হুমায়ুন রোড, শাস্ত্রী ভবনের মতো এলাকায় জল থইথই অবস্থা। দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের কাছেও জল জমেছে। দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি গাড়ি ও বাস জলের মধ্যে প্রায় ডুবে রয়েছে।
বাংলার আবহাওয়া
বাংলাতেও ঘনিয়েছে নিম্নচাপ। রবিবার কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আকাশও মেঘলা রয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে রবি এবং সোমবার বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে, যা আগামী ২৭ মে পর্যন্ত শক্তিশালী হয়ে তীব্র নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর ফলে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে পারে। বৃষ্টির জেরে কিছুটা স্বস্তি মিলবে ভ্যাপসা গরম থেকে। তাপমাত্রাও কমার ইঙ্গিত শহরে। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এবং সর্বনিম্ন ২৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।