সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে দিল্লিতে গ্রেফতার বিজেপির হেভিওয়েট নেতা

এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অশ্বিনী উপাধ্যায় সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। জানা যায়, রবিবার সকালে ওই ঘটনা ঘটলেও, সোমবার বিকেল পর্যন্ত কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ। যদিও, তারপর রাতের দিকে চাপের মুখে অশ্বিনী উপাধ্যায় সব ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

Advertisement
সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে দিল্লিতে গ্রেফতার বিজেপির হেভিওয়েট নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের অদূরেই জন্তর মন্তরে বিজেপির একটি কর্মসূচির ছিল
  • 'ভারত জোড়ো' নামে ওই আন্দোলনে হাজির ছিলেন অশ্বিনী উপাধ্যায় সহ দিল্লি বিজেপির একাধিক নেতা ও কর্মী
  • সেখানেই কয়েকজন কর্মীকে দেখা যায় সাম্প্রদায়ীক স্লোগান দিতে

দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে সাম্প্রদায়িক স্লোগান তোলার অভিযোগে এবার গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন মুখোপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায় সহ আরও চারজনকে। ইতিমধ্যেই স্লোগানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩এ এবং ১৮৮ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। 

কী হয়েছিল রবিবার?

রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের অদূরেই জন্তর মন্তরে বিজেপির একটি কর্মসূচির ছিল। 'ভারত জোড়ো' নামে ওই আন্দোলনে হাজির ছিলেন অশ্বিনী উপাধ্যায় সহ দিল্লি বিজেপির একাধিক নেতা ও কর্মী। সেখানেই কয়েকজন কর্মীকে দেখা যায় সাম্প্রদায়ীক স্লোগান দিতে। মুহূর্তের মধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। প্রতিবাদের ঝড়ও ওঠে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি ওঠে সমস্ত মহল থেকে। 

পুলিশের ভুমিকা-

অবশেষে এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অশ্বিনী উপাধ্যায় সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। জানা যায়, রবিবার সকালে ওই ঘটনা ঘটলেও, সোমবার বিকেল পর্যন্ত কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ। যদিও, তারপর রাতের দিকে চাপের মুখে অশ্বিনী উপাধ্যায় সব ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

অশ্বিনীর সাফাই-

অন্যদিকে, তাঁকে গ্রেফতার করার পরই উল্টো সুর গাইতে শুরু করেছেন অশ্বিনী উপাধ্যায়। পুলিশকে দেওয়া একটি চিঠিতে তিনি জানিয়েছে, ওই আন্দোলনটির আয়োজন করা হয়েছিল ব্রিটিশদের তৈরি করা যে আইন এখনও আমাদের সংবিধানে রয়েছে তা অবিলম্বে পরিবর্তন করে দেওয়ার দাবিতে। ওই মঞ্চে তিনি হাজির হয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন অশ্বিনী। কিন্তু তারপরই তিনি লিখেছেন, "সেখানে কিছুটা অনৈতিক স্লোগান উঠছে দেখে আমি সেখান থেকে ১ ঘণ্টা পরই বেরিয়ে যাই।" অন্যদিকে, ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে স্লোগান দিতে, তাঁদের তিনি চেনেন না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। 

এই ঘটনাটি সামনে আসতেই বিরোধীদের তরফে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অবিলম্বে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement