অলস মস্তিষ্ককে শয়তানের কারখানা বলা হয়। কিন্তু শয়তানের মস্তিষ্কে কী চলে?
জঙ্গিরা যে আজকাল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তা কারও অজানা নয়। আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, জ্যাকেট, যুদ্ধ সরঞ্জাম, জিপিএস তো বটেই। আরও অত্যাধুনিক আলট্রাস্যাট সিস্টেমও ব্যবহার করা শুরু করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। আর সেই কারণেই সন্ত্রাস দমনে বাড়তি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন জওয়ানরা।
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বেড়েছে। ৩৭০ ধারা অপসারণের পর থেকে কাশ্মীর বেশ কিছুদিনের জন্য শান্তিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন ফের ভূ-স্বর্গকে টার্গেট করতে শুরু করেছে জঙ্গিরা।
গত এক মাসে জম্মু অঞ্চলে পাঁচটি বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। এক মাস আগেই রিয়াসিতে একটি বাসে সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালায়। তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে ছোড়া হয় এলোপাথারি গুলি। আর সর্বশেষ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে কাঠুয়ায়। সোমবার কাঠুয়ায় মাচেদি-কিন্ডলি-মালহার সড়কে সেনাবাহিনীর গাড়ির উপর নক্কারজনক হামলা চালানো হয়। ঘাপটি মেরে, লুকিয়ে থেকে গুলি এবং গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। এই হামলায় পাঁচ সেনা শহিদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন অনেকে।
সন্ত্রাসবাদীরা এখন এতটাই চুপিসারে সমস্ত পরিকল্পনা চালাচ্ছে যে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকেও বাড়তি নজরদারি করতে হচ্ছে।
কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে থেকে জঙ্গিরা কীভাবে পাকিস্তানে তাদের 'বস'দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে? সেনাবাহিনী বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এF সম্পর্কে কোনও ক্লু পাচ্ছে না কেন?
গোয়েন্দারা বলছেন, 'হাইব্রিড আল্ট্রাস্যাট সিস্টেম' ব্যবহার করে জঙ্গিরা কাশ্মীরে বসে পাকিস্তানে তাদের জঙ্গিনেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তল্লাশি অভিযানে সেনাবাহিনী এমন আল্ট্রাস্যাট সিস্টেম খুঁজে পেয়েছে। এগুলি ব্যবহার করেই সন্ত্রাসবাদীরা সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে জম্মুতে হামলা চালাচ্ছে।
চিনা স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সার্ভারে হ্যান্ডসেট থেকে ডেটা পাঠানোর জন্য চিনা স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সার্ভার থেকে নির্দিষ্ট স্থানে মেসেজ পৌঁছে যায়। এই হাইব্রিড সিস্টেম এমনই যে গোয়েন্দা বা সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত সরঞ্জামে ধরা পড়ে না।
সেনাবাহিনী তিনটি সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে
এখনও পর্যন্ত, রাজৌরি, উরি এবং সোপোরে ৩টি পৃথক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে, নিরাপত্তা বাহিনী ৩টি এমন আল্ট্রাসাট উদ্ধার করেছে।