scorecardresearch
 

Bus Accident: চলতি বাসেই হার্ট অ্যাটাক, ৪৮ যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে মৃত্যুর কোলে ড্রাইভার

মৃত্যুর মুখেও অটল। কর্তব্যপরায়ণতার নয়া নজির স্থাপন করলেন এক বাস চালক। শনিবার ভুবনেশ্বরে বাস চালাতে চালাতেই হার্ট অ্যাটাক হয় ড্রাইভারের। কিন্তু তার মধ্যেও ৪৮ জন যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে গেলেন তিনি। একটি পাঁচিলের গায়ে ধাক্কা দিয়ে কোনওমতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন তিনি। 

Advertisement
মৃত্যুর মুখেও অটল। কর্তব্যপরায়ণতার নয়া নজির স্থাপন করলেন এক বাস চালক। মৃত্যুর মুখেও অটল। কর্তব্যপরায়ণতার নয়া নজির স্থাপন করলেন এক বাস চালক।
হাইলাইটস
  • মৃত্যুর মুখেও অটল। কর্তব্যপরায়ণতার নয়া নজির স্থাপন করলেন এক বাস চালক।
  • শনিবার ভুবনেশ্বরে বাস চালাতে চালাতেই হার্ট অ্যাটাক হয় ড্রাইভারের। কিন্তু তার মধ্যেও ৪৮ জন যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে গেলেন তিনি।
  • একটি পাঁচিলের গায়ে ধাক্কা দিয়ে কোনওমতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন তিনি। 

মৃত্যুর মুখেও অটল। কর্তব্যপরায়ণতার নয়া নজির স্থাপন করলেন এক বাস চালক। শনিবার ভুবনেশ্বরে বাস চালাতে চালাতেই হার্ট অ্যাটাক হয় ড্রাইভারের। কিন্তু তার মধ্যেও ৪৮ জন যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে গেলেন তিনি। একটি পাঁচিলের গায়ে ধাক্কা দিয়ে কোনওমতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন তিনি। 
 
শুক্রবার রাতে কান্ধমাল জেলার পাবুরিয়া গ্রামের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

বাস চালকের নাম সানা প্রধান। গাড়ি চালানোর সময় তাঁর বুকে ব্যথা শুরু করে। স্টিয়ারিংয়ের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। 

প্রাইভেট বাস, 'মা লক্ষ্মী' সাধারণত প্রতি রাতে ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরের সারনগড় থেকে ছাড়ে। প্রতি রাতের মতোই যাত্রী বোঝাই বাস নিয়ে বের হয়ন সানা প্রধান। মাঝরাস্তায় হঠাৎ তাঁর বুকে ব্যাথা শুরু হয়।

আরও পড়ুন

'উনি বুঝতেই পেরেছিলেন যে আর গাড়ি চালাতে পারবেন না। তাই, তিনি গাড়িটিকে আস্তে করার জন্য রাস্তার ধারে একটি দেয়ালের দিকে চেপে কোনওমতে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন। দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বাস থেমে যায়। প্রাণে বাঁচেন ৪৮ জন যাত্রী,' জানালেন টিকাবালি থানার পুলিশ আধিকারিক।

এর পর, তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে  মৃত ঘোষণা করেন। হার্ট অ্যাটাকেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।

ঘটনায় কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান যাত্রীরা। একজন চালক এমন চরম শারীরিক কষ্টের মধ্যেও যে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন, তা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কিছুক্ষণ পর অন্য একটি বাস আসে। সেটি যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। 

পুলিশ চালকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এরপর সানা প্রধানের দেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

Advertisement

Advertisement