scorecardresearch
 

বাসে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বিতর্ক শুনছিলেন যাত্রী, ড্রাইভার-কন্ডাক্টরকে নোটিশ সরকারের

হিমাচল প্রদেশ সরকার তার নির্দেশের কারণে প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে থাকে। এদিকে আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। এইচআরটিসি ম্যানেজমেন্ট সিমলায় একটি সরকারি বাসে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে ডিবেট শোনার জন্য ড্রাইভার এবং কন্ডাক্টরকে একটি নোটিশ জারি করেছে এবং তাঁদের তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে।

Advertisement
বাসে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বিতর্ক শুনছিলেন যাত্রী, ড্রাইভার-কন্ডাক্টরকে নোটিশ সরকারের বাসে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বিতর্ক শুনছিলেন যাত্রী, ড্রাইভার-কন্ডাক্টরকে নোটিশ সরকারের
হাইলাইটস
  • বাসের চালক ও কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
  • উভয়ের কাছে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে

হিমাচল প্রদেশ সরকার তার নির্দেশের কারণে প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে থাকে। এদিকে আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। এইচআরটিসি ম্যানেজমেন্ট সিমলায় একটি সরকারি বাসে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে ডিবেট শোনার জন্য ড্রাইভার এবং কন্ডাক্টরকে একটি নোটিশ জারি করেছে এবং তাঁদের তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে। আসলে ঘটনাটি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের একটি বাসের, যা ধল্লি থেকে সাঞ্জাউলি যাচ্ছিল। ৫ নভেম্বর সিমলার ধল্লি থেকে সঞ্জাউলি রুটের ওই এইচআরটিসি বাসে একজন ব্যক্তি তাঁর মোবাইলে হাই ভলিউমে একটি অডিও প্রোগ্রাম বাজাচ্ছিলেন। বাসে থাকা লোকজন লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেন।

কেউ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে এ নিয়ে অভিযোগ করে দেনন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় এইচআরটিসিকে এই বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। এখন HRTC বাসের চালক ও কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। উভয়ের কাছে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কংগ্রেস সরকারকেও নিশানা করেছে বিরোধীরা। বিজেপি বলেছে যে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে হিমাচল সারা দেশে লজ্জিত।

বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী সুখরাম চৌধুরী বলেছেন, 'হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস ব্যর্থ হয়েছে, উন্নয়ন বন্ধ হয়ে গেছে, মানুষ ব্যথিত। এখন সিমলা ডিপো বাস চালক ও কন্ডাক্টরের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে। একটা পরিবারের প্রতি কি এতই অন্ধ ভক্তি আছে যে আপনি ছোট ছোট মানুষকে হয়রানি করছেন, আগে হিমাচল প্রদেশে সমোসার তদন্তের নিষ্পত্তি হয়নি, এখন ড্রাইভার এবং কন্ডাক্টরদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে।'

সুখরাম চৌধুরী আরও বলেন, 'হিমাচল প্রদেশে উন্নয়নের কাজ থমকে আছে, শুধু স্কিম বন্ধ করার কাজ চলছে। হিমাচল স্বাস্থ্য সুবিধার দিক থেকে পিছিয়ে আছে, জনকল্যাণমূলক প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হিমাচল প্রদেশে অনেক কাজ করার আছে কিন্তু এই সরকার শুধু তদন্ত বাড়ানোর কাজ করছে। এর ফলে সারা দেশে হিমাচলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং এতে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর বন্ধুদের কিছুই করার নেই। আমরা ২ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছি, কিন্তু কংগ্রেসের লোকেরা একটি অর্জনও দেখাতে পারছে না। যখন কংগ্রেস দলের ব্যর্থ সরকার কিছুই করতে পারেনি, তখন কীসের উদযাপন, গোটা রাজ্যও এটি জানতে চায়।'

Advertisement

বিজেপি বিধায়ক বিষয়টিকে হাস্যকর বলেছেন

ধর্মশালার বিজেপি বিধায়ক সুধীর শর্মা এই মামলাটিকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, 'রাজ্যে প্রতিদিনই কিছু নতুন হাস্যকর ঘটনা সামনে আসে, যার কারণে হিমাচল দেশে আলোচনার এবং হাসির বিষয় হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি চিঠি আসে এবং HRTC-তে যায়। বাসের ভিতরে কেউ একজন তাঁর ফোনে একটি বিতর্ক শুনছিলেন, যাতে বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্য লোকদের সম্পর্কে কিছু বলা হচ্ছিল। এ বিষয়ে তদন্ত করে চালকদের কাছে জবাব চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাসে বিতর্ককে সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে বলা হয়, বাসের ভেতরে এ ধরনের বিতর্ক শোনা যাবে না এবং উভয়ের কাছে তিন দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'চালক বাস চালাতে পারেন, কিন্তু কে কিছু শুনলে তা বন্ধ করতে পারেন না। যদি এমন পরিস্থিতি থাকে তবে সরকারের উচিত বাসে মার্শাল নিয়োগ করা, যারা বিতর্ক শুনতে মানুষকে বাধা দিতে পারে। রাজ্যে জনস্বার্থের বিষয়ে কোনও আলোচনা হচ্ছে না এবং কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু সরকার এই ধরনের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে, যা দুঃখজনক। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সারা দেশে রাজ্যের বদনাম হচ্ছে।'

TAGS:
Advertisement