দেশের ৭৮ তম স্বাধীনতা স্বাধীনতা দিবস উৎযাপিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঐতিহাসিক লালকেল্লার প্রাচীর থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন সকাল ৭.৩০ মিনিটে, এরপর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। এটি ছিল মোদীর জাতির উদ্দেশ্যে টানা ১১তম ভাষণ এবং টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরে আসার পর প্রথম ভাষণ। আর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বাংলাদেশের হিন্দুদের প্রসঙ্গও তুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত - প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রধানমন্ত্রী মোদী তার ভাষণে বাংলাদেশে হিংসার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যা কিছু ঘটেছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক। আমি আশা করছি দ্রুতই সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। দেশবাসী চায় সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। ভারত সবসময় চায় আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো সুখ ও শান্তির পথ অনুসরণ করুক। শান্তির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার আছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রার প্রতি আমাদের শুভকামনা রইল, কারণ আমরা মানবজাতির কল্যাণের কথা ভাবি।
মোদী বলেন, বাংলাদেশে যা কিছু হয়েছে, তা নিয়ে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। আমি আশা করব, ওখানে অবস্থা শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। ১৪০ কোটি দেশবাসীর চিন্তা, ওখানের হিন্দু, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক। আমাদের প্রতিবেশী দেশ শান্তির পথে চলুক। আমরা আগামী দিনে বাংলাদেশের বিকাশযাত্রায় সর্বদা শুভচিন্তা রাখব। কারণ, আমরা মানবজাতির ভাল চাই। আজ আমাদের সংবিধানের ৭৫ বছর হচ্ছে। এই যাত্রায় দেশের ঐক্য, গণতন্ত্রকে মজবুত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগস্টের শুরু থেকে বাংলাদেশে হিংসা চলছে, যাতে প্রাণ হারিয়েছে ৫০০ বেশি মানুষ। অনেক জায়গায় হিন্দুদের বাড়িঘর ও দোকানপাটকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা দেখে উদ্বিগ্ন হওয়া যুক্তিসঙ্গত। আমি আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। বিশেষ করে ১৪০ কোটি ভারতীয়দের উদ্বেগের বিষয় হল, সেখানে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ভারত সবসময় চায় প্রতিবেশী দেশগুলো শান্তিতে থাকুক এবং উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাক। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং চাই ইতিবাচক কিছু ঘটুক, আমরা তার জন্য একসঙ্গে আছি।'