'বাংলাদেশিদের হোটেল ভাড়া দেওয়া হবে না' এবার সিদ্ধান্ত এই রাজ্যে

এবার অসমেও বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল ভাডৃা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত। রাজ্যের বরাক উপত্যকার হোটেলগুলো হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেল ভাড়া দেবে না বলে জানিয়েছে।

Advertisement
'বাংলাদেশিদের হোটেল ভাড়া দেওয়া হবে না' এবার সিদ্ধান্ত এই রাজ্যে'বাংলাদেশিদের হোটেল ভাড়া দেওয়া হবে না' এবার সিদ্ধান্ত এই রাজ্যের
হাইলাইটস
  • এবার অসমেও বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল ভাডৃা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
  • রাজ্যের বরাক উপত্যকার হোটেলগুলো হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেল ভাড়া দেবে না

এবার অসমেও বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল ভাডৃা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত। রাজ্যের বরাক উপত্যকার হোটেলগুলো হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেল ভাড়া দেবে না বলে জানিয়েছে। কাছাড়, শ্রীভূমি (পূর্বে করিমগঞ্জ) এবং হাইলাকান্দি তিনটি জেলা নিয়ে গঠিত বরাক উপত্যকা। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের সঙ্গে ১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে বরাক উপত্যকার। বারাক ভ্যালি হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবুল রায় বলেন, 'বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অবস্থা উদ্বেগজনক। আমরা এটা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারি না। তাই পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এবং তাঁদের ওপর নৃশংসতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বরাক উপত্যকার তিনটি জেলায় ওই দেশের কোনও নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা আমাদের প্রতিবাদের রূপ।'

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণকে নিশ্চিত করতে হবে যে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলেই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারব।'

কয়েকদিন আগে শিলচরে গ্লোবাল এক্সপো-র আয়োজকদের বাংলাদেশি পণ্য বিক্রির দুটি স্টল বন্ধ করতে বলেছিল বজরং দল। প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ হিসেবেই এটা করার দাবি জানানো হয়েছিল। তাদের দাবি মেনেও নেওয়া হয়েছে। বজরং দলের বিক্ষোভকারীরাও শিলচরের বাংলাদেশ ভিসা সেন্টারে গিয়ে সাইনবোর্ড থেকে 'বাংলাদেশ' নাম মুছে ফেলার দাবি জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এবং হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে বরাক উপত্যকার তিনটি জেলাতেই ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশিদের হোটেল, রেস্তরাঁয় খাবার পরিবেশন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ মালিক সমিতি (ATHROA)। ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও অপমানের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রতিবেশী দেশে ভারতীয় পতাকার অবমাননার কারণে বাংলাদেশি অতিথিদের খাবার পরিবেশন করা হবে না। সোমবার অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অথরো’র সাধারণ সম্পাদক সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের জাতীয় পতাকাকে অপমান করা হয়েছে এবং বাংলাদেশে মৌলবাদীদের একটি অংশ দ্বারা সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটত কিন্তু এখন তা সীমা অতিক্রম করেছে।' তিনি আরও বলেছেন, 'বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। আমরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ত্রিপুরায় আসা মানুষদের সেবা করি। আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি যে আচরণ করা হচ্ছে তার নিন্দা জানাই।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement